বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। শুধু দুই বর্ধমান জেলা নয়, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলির একটা বড় অংশের পাশাপাশি রোগী আসে বিহার ঝাড়খন্ড থেকেও। রোগীর আত্মীয়দের আলাদা করে রাত্রিবাসের কোনও ব্যবস্থা নেই এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুতে হয় তাদের। তখনই অপারেশন সেরে ফেলে চোর, কেপমাররা।
advertisement
রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে মিশে থাকছে চোর, কেপমাররা। রোগীর আত্মীয়রা ঘুমিয়ে পড়লে বা অসতর্ক হলেই নিমেষে মোবাইল ফোন, টাকা ভর্তি ব্যাগ হাপিস করে দিচ্ছে তারা। দুষ্কৃতীদের দলে পুরুষদের পাশাপাশি থাকছে মহিলারাও। অনেক সময়েই ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকছে তারা। রোগীর আত্মীয়দের অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে হাত সাফাইয়ের কাজ সাড়ছে তারা।
ওয়ার্ডের ভেতর রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়ের সঙ্গে রোগীর গতি প্রকৃতি জানান জন্য ফোন রাখেন ওয়ার্ডের বাইরে হাসপাতাল চত্বরে থাকা রোগীর আত্মীয়রা। সেই ফোন চুরি হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই সমস্যার মধ্যে পড়ছেন অনেকেই।
রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, কখনও খোলা আকাশের নিচে কখনও আবার প্লাস্টিকের ছাউনি খাটিয়ে হাসপাতাল চত্বরে রাত কাটাতে হয়। অনেক সময় ক্লান্তিতে ঘুম নেমে আসে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে চোখ কেপমাররা। রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, টাকা নিয়ে চম্পট দিচ্ছে তারা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ মেলেনি। তবে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে। রোগীর আত্মীয়দের রাত্রিবাসের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে এই সমস্যা থাকবে না।
Saradindu Ghosh