রবিবার দিন পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি প্রকাশ পায় যখন মহিলার পরিবারের সদস্যরা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই ভিত্তিতেই পুলিশ এই দিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করে বলেছে, শনিবার দিন স্ত্রি'এর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর সে মহিলাকে তাঁর ওড়নার সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে। নিহত মহিলার নাম কাঞ্চন, তিনি হামিরপুরের পরী ওঝার বাসিন্দা। অভিযুক্তের নাম অমিত লাল। লাল কানপুর দেহাতের নাসিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। কাঞ্চন ও লাল প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁদের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
advertisement
অভিযোগ উঠেছে, কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর শ্বশুর বাড়ির সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। প্রায় প্রতিদিন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে ঝগড়া, অশান্তি হত। যৌতুকের জন্য কাঞ্চনকে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে তাঁর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ক্রমাগত এই হয়রানির ফলে, ৪ জানুয়ারি ওই মহিলা তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবা-মার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তারপরেই ২ ফেব্রুয়ারি, কাঞ্চন হঠাৎই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এরপরে স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও খোঁজ না পাওয়ায়, মহিলার বাবা-মা হামিরপুর থানার এসপি নরেন্দ্র কুমার সিংয়ের কাছে গিয়ে জামাইয়ের উপর সন্দেহের কথা বলে।
তদন্ত অনুসারে পুলিশ জানিয়েছেন, লাল প্রথমে কাঞ্চনকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। একটা মাঠে নিয়ে গিয়ে সেখানে প্রথমে তার সঙ্গে সহবাস করে এবং ওড়নার সাহায্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অভিযুক্ত মহিলার ফোনটি একটি নদীতে ফেলে দিয়ে তার মরদেহ ওই মাঠে লুকিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছিল।