জানা গেছে চোপড়া ব্লকের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা ওসমান গনি। তার তিন ছেলে, মেয়ে। সাত মাস আগে ওসমান গনি প্রতিবেশী মহিলা সালমা খাতুনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত ওসমান গনির বাড়িতে লুঠতারাজ করে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় মাতব্বরদের দিয়ে সালিশি হয়। সালিশি সভায় ওসমান গনিকে সাত লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন পর তাঁদের খোঁজ মেলে। পুলিশের কাছে সালমার পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় পুলিশ অভিযুক্ত ওসমান গনি সহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেছিল। বর্তমানে তারা জামিনে মুক্ত ছিলেন।
advertisement
ওসমান গনি কাজের জন্য মুম্বই চলে যায়। এই ঘটনার পর সালমার পরিবার ধূলিগাও গ্রামে সালমাকে বিয়ে দেয়। সালমা একদিন সংসার করে শ্বশুড় বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বইয়ে ওসমান গনির কাছে পালিয়ে যায়। সালমার পরিবার মুম্বই থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে আসে। মহিলাকে অপহরণের মামলায় বুধবার আদালতে হাজির হবার কথা ছিল ওসমান গনি। সালমার পরিবার জানতে পেরে রাস্তা থেকে অভিযুক্ত ওসমানকে তুলে নিয়ে এসে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে ব্যাপক মারধোর করে বলে অভিযোগ।ওসমান গনির স্ত্রী রঞ্জু খাতুন খবর পেয়ে ডাঙ্গাপাড়া পৌছায়। স্ত্রীর সামনেই স্বামীকে সালমার পরিবারের লোকেরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। ওসমানের স্ত্রী রঞ্জু খাতুন তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানকে চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত ওসমান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানান, বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা।অভিযুক্তদের নাম হাতে এসেছে।পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মিনসার এবং শাহ আলম নামে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
Uttam Paul