ইডি সূত্রে খবর, সাতটি ট্রাস্টের নথি তাদের হাতে এসেছে। যার মাধ্যমে এই সকল কলেজগুলো পরিচালনার কাজ হয়ে থাকে। আর ট্রাস্টের সদস্যরা হলেন এই সকল কলেজের কর্মকর্তা বলে দাবি ইডির। এই ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড কী ? জানতে চাইছে ইডি। ইতিমধ্যে নিজেদের হেফাজতে থাকাকালীন কুন্তলকে জেরা করে বেশকিছু তথ্য সামনে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। শুধুমাত্র নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, এই সকল বেসরকারি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রেও অনিয়মের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অফলাইন রেজিস্ট্রেশন বাবদ ছাত্র ভর্তি পিছু আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আছে। সেক্ষেত্রে কুন্তল বা তার ঘনিষ্ঠরা কতটা লাভবান হয়েছিলেন, তা তদন্ত করে বার করতে চাইছে ইডি।
advertisement
সূত্রের দাবি, তদন্তে যে কলেজগুলোর কথা উঠে এসেছে অধিকাংশ বর্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদের। রয়েছে কুন্তলের নিজের জেলা হুগলিও। কুন্তল ঘোষ কোনও কলেজের প্রাক্তন বোর্ড সদস্য আবার কোনও কলেজে এখনও পদে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই দুর্নীতির বাইরে যে তিনি নন বলে মনে করছেন ইডি কর্তারা। তাই শুধু কুন্তল নন, ওই সকল ট্রাস্টের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলেই মত ইডির। তাই আগামী দিনে এই সকল সদস্যদের তলব করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। কুন্তলের গ্রেফতারে সময় তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথির মধ্যেই ট্রাস্টের নথি উদ্ধার হয়। সেই সকল নথি খতিয়ে দেখেই এই কলেজগুলো সম্পর্কে তথ্য সামনে এসেছে বলে দাবি ইডির। এই কলেজগুলো সম্পর্কে তাপস মণ্ডলকেও জানতে চাওয়া হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।