পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই যাদবপুরের পোদ্দার নগর এবং কসবা এলাকা থেকে এই প্রতারণার কারবার চলছিল৷ অভিযোগ, ডেটিং অ্যাপের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এই প্রতারকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বসবাসকারী পুরুষদের মেসেজ পাঠাতেন৷ মেসেজে বলা হত, মনের মতো সঙ্গিনী খুঁজে দেওয়া হবে৷ এই ফাঁদে পা দিয়ে যাঁরা সাড়া দিতেন, তাঁদের দুর্বলতারই সুযোগ নিতে প্রতারকরা৷
advertisement
তদন্তে উঠে এসেছে, প্রথমে ডেটিং অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের নামে কিছু টাকা চাওয়া হত৷ যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের আরও বড় ফাঁদে ফেলতে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন মহিলাদের ছবি ডাউনলোড করে পাঠানো হত৷ বলা হত, এই মহিলারা সংস্থারই কর্মী এবং তাঁদেরকেই সঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া যাবে৷
কোনও ক্লায়েন্ট এই মহিলাদের কোনও একজনের ছবি বাছাই করলেই ফের প্রাইভেসি ফিস-এর নামে টাকা চাওয়া হত৷ গোল্ড মেম্বারশিপ, হোটেল বুকিং, হেলথ কার্ড সহ নানা অছিলায় টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা৷ এ ভাবেই ধাপে ধাপে ৫০০০ থেকে ১৫ হাজার করে একাধিক কিস্তিতে টাকা নেওয়া হত৷ কিন্তু মোটা টাকা দিয়েও কোনও সঙ্গিনীর সান্নিধ্য পেতেন না প্রতারিতরা৷ ফেরত দেওয়া হত না টাকাও৷