কলকাতা শহরের বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালে দেখা যায় ভিখারিদের ভিক্ষে করার প্রবণতা। দেখা যায় প্রচুর মহিলা রয়েছেন,যাঁরা কোলে একেবারে দুধের শিশুকে নিয়ে ভিক্ষে করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুগুলি অত শব্দ ও দোলার মধ্যেও অচৈতন্য হয়ে থাকে। মহিলারা ওই বাচ্চাদের নিয়ে দিনের পর দিন ভিক্ষাবৃত্তি করছে। আশেপাশের দোকানদার থেকে আরম্ভ করে ট্রাফিক পুলিশ, সবাইয়ের দাবি ওঁরা দীর্ঘদিন ধরে ওখানে আসে। কলকাতা ক্রাইমের আওতায় এই ভিক্ষাবৃত্তি কী করে এনে এই শিশুদের উদ্ধার করা হবে তা নিয়ে কোনও সদুত্তর নেই৷
advertisement
কলকাতার ধর্মতলা চৌরঙ্গী মোড়ে কয়েকজন মহিলা ভিক্ষুক রয়েছেন। যাঁদের কোলে সারা বছরই ছ' মাস থেকে এক বছরের বাচ্চারা থাকে। প্রশ্ন দীর্ঘ ৭- ১০ বছর ধরে যাঁরা ভিক্ষে করছে, তাঁদের সেই বাচ্চাগুলো তো বড় হয়ে গেছে। নতুন করে বাচ্চা কোথা থেকে পাচ্ছেন?
এরমধ্যে দেখা গেল একটি দেড় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে ভিক্ষে করছেন এক মহিলা। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কালো পোশাক পরিহিতা আরেক মহিলা। ফুটপাতের দোকানদাররা জানালেন ওই কালো পোশাক লম্বা ছিপছিপে মহিলা এই দেড় মাসের বাচ্চাটিকে ভাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন - Ranji Trophy Final: ‘আসুন সমর্থন করুন, বাংলার জন্য গলা ফাটান’ রঞ্জি ফাইনালে ইডেনে প্রবেশ ফ্রি
এই বিষয় নিয়ে চাইল্ড লাইনের ১০৯৮ নাম্বারে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি শুনে খোঁজ খবর নেবে বলে জানান। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মহিলারা ওখানে বাচ্চা নিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল৷
প্রশ্ন, এই দুধের শিশুদের নিয়ে যেভাবে দূষণের মধ্যে সারাদিন ভিক্ষাবৃত্তি করছে ওরা। অন্যদিকে অনেকেরই অভিযোগ শিশুদের চুপ রাখার জন্য ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ায় ওরা। তবে এটার কি কোন বিহিত হবে? ছোট্ট শিশুদের কে না দেখিয়ে নিজেরা কি ভিক্ষেবৃত্তি করতে পারে না? নানা প্রশ্ন জাগছে ওদের এই ধরনের ব্যবসার পদ্ধতি নিয়ে। সবকিছু প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে।
SHANKU SANTRA
