১০ বছর ধরে পর্ষদের মাথায় কল্যাণময়। নিখোঁজ ফাইলেই লুকিয়ে সেই রহস্য, দাবি সিবিআইয়ের ।
প্রসঙ্গত শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপল সেক্রেটরি মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই বেশ কিছু তথ্য পায় সিবিআই। সেই তথ্যের ভিত্তিতে চিঠি দিয়ে নথি চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন-রাশিফল ৩ জুলাই থেকে ৮ জুলাই; দেখে নিন কেমন যাবে সপ্তাহ
advertisement
এরপরই শিক্ষা দফতর থেকে ফাইল নিখোঁজের তথ্য সামনে আসে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই ফাইলেই কল্যাণের দশ বছরের কর্মকাণ্ড লুকিয়ে।
কল্যাণকে আড়াল করতেই ফাইল লোপাট, সন্দেহ সিবিআইয়ের। কেন তাকে আড়ালের চেষ্টা? উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত ২০১২ সালে প্রশাসক হিসেবে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের মাথায় বসেন কল্যাণ ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন তিনি। এরপর ওই কমিটির সভাপতি হিসেবে ২০১৬ সালে দায়িত্ব পান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৮ সালে সরাসরি এসএসসির নিয়োগ পত্র দেওয়ার সমস্ত ক্ষমতা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির হাতে। কিন্তু কার নির্দেশে এই ক্ষমতা কল্যাণের হাতে? কল্যাণকেই বা কেন দায়িত্ব বণ্টন? ফাইলেই কি লুকিয়ে রহস্য। তাই ফাইল চুরি গিয়েছে বলে দাবি শিক্ষা দফতরের ?
সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি ও সিনিয়র ল’অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তবে এখনও উধাও ফাইলের খোঁজ মেলেনি।সম্প্রতি বিশেষ সিবিআই আদালতেও কল্যাণের কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ করেছে সিবিআই। বেশ কিছু নতুন তথ্য যে তারা পেয়েছেন, তা আদালতে জানানো হয়েছে। যদিও একটা অংশের দাবি তাঁর হাতে ২০১৮ সাল থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি জানতেন মেরিট লিস্ট বিকৃত করার রহস্য, মনে করছে সিবিআই। এমনকী, সম্প্রতি রহস্যভেদ করতে শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি ও এক সিনিয়র ল’ অফিসারকে তলব করা হয়েছিল। তাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।