এই ঘটনায় দেশে শোরগোল পড়ে যাওয়ার পরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুনেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানেও শীর্ষ আদালত সিবিআই-কে নোটিস জারি করেছিল এই মামলায়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ বিচারকদের হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিআই বা কোনও তদন্তকারীই ঠিক মতো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে ধানবাদে বিচারকের (Uttam Anand) মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআই (CBI on Jharkhand Judge Death)। সেই সময়ই অভিযোগ ওঠে, অতিরিক্ত জেলা বিচারক উত্তম আনন্দকে ইচ্ছাকৃত গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে (Jharkhand Judge Death)। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন সিবিআইয়ের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিচারক উত্তম আনন্দকে (Uttam Anand) চাপা িদয়েছিল অটোটি (CBI on Jharkhand Judge Death)।
advertisement
সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুনর্নির্মাণ, সিসিটিভি ফুটেজ, ফরেন্সিক পরীক্ষা-- সমস্ত কিছুর পর সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, ধানবাদের বিচারক উত্তম আনন্দকে (Uttam Anand) ইচ্ছে করেই অটো চাপা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষা করেছে, গান্ধিনগর, দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যেকেই একে ইচ্ছাকৃত খুন বলে দাবি করেছেন। যদিও তদন্ত এখন শেষের পর্যায়, দুই অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা, লাই ডিটেক্টর ও ব্রেন ম্যাপিংয়ের কাজ চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে কী গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা নয়, ঝাড়খন্ডের বিচারককে ছক কষে খুন করা হয়েছে! চাঞ্চল্যকর ফুটেজ দেখুন
অটোর চালক লক্ষ্মণ ভার্মা ও হেল্পার রাহুল ভার্মাকে ঘটনার পরদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল। অটোটি এক মহিলার নামে রেজিস্টার করা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২৮ জুলাই ভোরে জগিং করতে বেরিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মারা যান বিচারক আনন্দ। রাঁচিতে তাঁর বাড়ির খুব কাছেই হয় দুর্ঘটনা। কিছুক্ষণ পর ৪৯ বছরের বিচারককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন পথচারী। হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরেই একটি ফুটেজ ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, কীভাবে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারছে অটো। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে সুরক্ষা দিতে পারছে না পুলিশ বা সিবিআই: সুপ্রিম কোর্ট