তার পর পায়ে হেঁটে ৬৩/এ তারক প্রামানিক রোডে যান। ওটি রেশন ডিলার সাধন পালের দোকান।সেখানে গিয়ে মজুতের হিসাব মেলাতেই, চক্ষু চড়কগাছ মন্ত্রী ও খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের। স্টক মেলাতেই দেখেন ২৭৭ বস্তা চাল গম থাকার কথা। সেখানে মাত্র পাওয়া যায় একশো কুড়ি বস্তা চাল ও ১৫৭ বস্তা গম, বাকি খাদ্যশস্য গেল কোথায়?
advertisement
দোকানের ম্যানেজার এর পরিষ্কার উত্তর, এমআর ডিস্ট্রিবিউটর অনলাইন চালান করে দিয়েছেন। কিন্তু মাল পাঠায়নি। তিনি এও বলেন এম আর ডিস্ট্রিবিউটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাহলে, কলকাতায় রেশনে আবার ঘুঘুর বাসা বেধেছে? এলাকার মানুষের অভিযোগ,রেশনের মাল থাকলেও,অনেককে দিতে চাননা,ওই রেশন ডিলাররা। এই রেশন ডিলাররা, মাল কিছুটা কিনে,এম আর ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে বিক্রি করে চলে আসেন।ওই ডিস্ট্রিবিউটররা অবৈধ ভাবে কালো বাজারিদের কাছে বিক্রি করে দেয় ওই সমস্ত রেশনের দ্রব্যাদি।এই ভাবে রেশন পদ্ধতিতে ঘুঘুর বাসা চেপে বসেছে। মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি সমস্ত কাগজপত্রে সই করিয়ে চাল,গমের মজুত বস্তা মিলিয়ে বেরিয়ে যান এবং তিনি বলেন তদন্ত চলবে। যদি প্রমাণ হয় কেউ জড়িত, তাহলে তার আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।
মন্ত্রীকে তারক প্রামানিক রোডের জনগন ,ওই রেশন দোকান থেকে আরম্ভ করে,ওই এলাকার রেশন দোকানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।রেশনে খাদ্য সামগ্রী না দেওয়া।নিম্ন মানের খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ইত্যাদির। মন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বেরিয়ে যান।তিনি বলেন ' মমতা বন্দোপাধ্যায় তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন,তিনি সেই গুরু দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।'
Shanku Santra