জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ড। রেলের খাতায় নিজেকে মৃত দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ। বোনের চাকরি। অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরী জীবিত। এবার অমৃতাভর বয়স নিয়েও ধন্দ। সিবিআই সূত্রে খবর, অমৃতাভর বয়স যাচাইয়ে ওসিফিকেশন টেস্ট হবে ৷ সিবিআই জানতে চাইছে, অমৃতাভর বয়স আসলে কত? কারণ, ‘মৃত’ অমৃতাভর বার্থ সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১৯৮২ সালে জন্ম ৷ তাহলে এখন অমৃতাভর ৩৯ বছর হওয়ার কথা ৷ কিন্তু অমৃতাভকে দেখতে ২৮ বা ৩০ বছর বয়সিদের মতো৷ তাহলে কি ক্ষতিপূরণ ও চাকরি পেতে বার্থ সার্টিফিকেটও জাল?
advertisement
অমৃতাভর আসল বয়স জানতে ওসিফিকেশন টেস্টই ভরসা ৷ কারও বয়স যাচাইয়ে হাড় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় ৷ অমৃতাভর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও ধোঁয়াশায় সিবিআই। সূত্রের খবর, জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ‘মৃত’ অমৃতাভ বিপি পোদ্দার থেকে বি টেক পাশ করেন ৷ কিন্তু ‘জীবিত’ অমৃতাভর দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কিছুই তাঁর মনে নেই ৷
এখন অমৃতাভর আসল পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্টই ভরসা সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর, অমৃতাভর ডিএনএ টেস্টের প্রস্তুতিও তুঙ্গে ৷ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে কথা বলেছে সিবিআই ৷
জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা হয় ২০১০ সালে। মন্তেশ্বরে গ্রামের বাড়িতে অমৃতাভ দাবি করেন, তিনি সাত বছর তামিলনাড়ুতে জঙ্গিদের ডেরায় ছিলেন। ২০১৭-য় ফিরে আসার পর পুলিশ বা রেলকে জানাতে চান আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, তখন অমৃতাভ অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। অমৃতাভর পরিবারের দাবি, দেড় বছর তাঁর মানসিক চিকিৎসা চলছে ৷ চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছে সিবিআই ৷