স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, পড়াশুনা যেখানে প্রাধান্য, পড়ুয়ারা পড়াশুনা করতে আসে। সেখানে পান থেকে চুন খসলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন থেকে রাস্তায় নেমে পড়ুয়ারা অবরোধ গড়ে তোলে। তাতে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষ। ফলে পড়ুয়ার মৃত্যুতে সমবেদনা থাকলেও পড়ুয়াদের আচরণের জন্য সেই ক্ষোভ বুমেরাং হয়েছে। মেধাবী পড়ুয়ার মৃত্যুতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে আরম্ভ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলছেন সবাই।
advertisement
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে। কেউ প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, কেউ নিষ্ক্রিয়, তবে রাজনীতির সঙ্গের যাপন তাঁদের। ইদানিং সাধারণের ক্ষোভের জেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কোনও ছাত্রী। তাঁদের ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ঢুকে অশ্লীল আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কখনও কখনও সেই আক্রমণ এতটাই কদর্য, যা প্রকাশ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। শুধুই পুরুষরা নন, সেখানে কমেন্ট করছেন মহিলারাও।
আরও পড়ুনঃ যাদবপুর-কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৩, তিনজনই মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছিল ওই ছাত্রকে, ধৃত বেড়ে ১২
এক ছাত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকি না। তবে যারা আক্রমণ করছে, আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জেনেই সেই আক্রমণ করছেন তাঁরা।’ এ রকম আক্রমণে রীতিমতো ভীত পড়ুয়ারা। সামাজিক সম্মান নষ্টের ভয়ে সন্ত্রস্ত তাঁরা। অতিমধ্যেই দুই পড়ুয়া কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা প্রথমে ই-মেইল করে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেন। এরপর শুক্রবার এক পড়ুয়া যাদবপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
SHANKU SANTRA