অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়েই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নবীন নামের মৃত যুবক ও অভিযুক্ত হরিহর কৃষ্ণ দিলসুখনগরে একই কলেজে পড়ত। নবীনের সঙ্গে দু'বছর সম্পর্ক ছিল যে মেয়েটির, সেই এখন হরিহরের গার্লফ্রেন্ড। সম্পর্ক ভাঙার পরেও মেয়েটিকে নবীব ফোন ও মেসেজ করত বলে রাগে ফুঁসছিল হরিহর।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের গাড়িতে নিকির মৃতদেহ পাশে বসিয়ে ৪০ কিমি চালায় সাহিল, জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
advertisement
গত তিন মাস ধরেই নবীনকে পথ থেকে সরানোর ছক কষছিল হরিহর। ১৭ ফেব্রুয়ারি, হায়দরাবাদের বাইরে আবদুল্লানগরে দেখা করে নবীন ও হরিহর। হৈ-হুল্লোড় করার নামে ডেকে পাঠায় হরিহর। মদ্যপানের পর ঝগড়া শুরু হয় তাদের। তখনই ফের গার্লফ্রেন্ডকে ফোন ও মেসেজ করার কথা বলে হরিহর। অভিযোগ, সেখানেই শ্বাসরোধ করে নবীনকে খুন করে হরিহর। রাগে হাত দিয়েই গোপনাঙ্গ ও হৃদপিণ্ড খুবলে নেয় হরিহর।
আঙুল কেটে সেই লাশের ছবি গার্লফ্রেন্ডকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় হরিহর। পুলিশের দাবি, মেয়েটি প্রথমে প্র্যাঙ্ক করা হয়েছে বলে ভেবেছিল। পরে নবীনের অন্য বন্ধুরা তাকে ফোনে না পেয়ে হরিহরকে ফোন করে। নবীন কোথায় তা জানাতে না পারাতেই সন্দেহ হয় অনেকের। পরিবারকে জানালে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পরে হরিহর আত্মসমর্পণ করে এবং গোটা ঘটনা জানায়।