পুলিশ সূত্রে খবর, দুজনের পরিচয় হয় কাজের সুবাদে। উভয়েই জিম প্রশিক্ষক। অভিযুক্তের নাম দীপক ছৌগলে। তিনি এবং ওই তরুণী খরাদি এলাকার একটি জিমে ট্রেনারের কাজ করছিলেন একসঙ্গে গত তিন মাস ধরে। ১৭ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটার পর তরুণী মানসিক ভাবে একদম ভেঙে পড়েন। তারপরেই পুলিশের কাছে বিষয়টি খোলাখুলি জানান।
প্রতিদিনের মতই উভয় জিমে এসেছিলেন সকালবেলা এবং শিফট শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই তরুণী বাড়ি ফিরে গেলেও দীপক তখনও জিমে ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে দীপক ওই তরুণীকে কিছু খাবার দিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করে। তরুণী খাবার নিয়ে পৌঁছানোর পর তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে দীপক একসঙ্গে ডিনার করার কথা বলে। তারপরে তাঁকে সফট ড্রিঙ্ক অফার করে ওই ব্যক্তি। সেটাতেও মানা করলে তাঁকে জোর করা হয়। সফট ড্রিঙ্ক খাওয়ার পরে তরুণী নিজের হুশ হারিয়ে ফেলেন এবং ধীরে ধীরে অজ্ঞান হয়ে যান। তরুণীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ধর্ষন করা হয়, বলে অভিযোগ। জ্ঞান ফেরার পর তরুনীকে হুমকি দিয়ে দীপক বলে, এই ঘটনা লোক জানাজানি হলে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হবে। ওই তরুণী আঘাত সহ্য করতে না পেরে একেবারে মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়েন এবং ভয় কাউকে কিছু জানাতে পারেননি। পরে একজন বন্ধুর সাহায্য নিয়ে চন্দন নগর পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট করেন।
advertisement
এই ঘটনার ঘটার দীপককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত জারি রেখেছেন পুলিশ কিন্তু এখনও অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই বিষয়টিকে তদন্ত করছেন, চন্দননগরের পুলিশ কর্মকর্তা কিরণ আউত জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি ইন্ডিয়ান পেনাল কোড ৩৭৬ (ধর্ষন) এবং ৫০৬ (দন্ডনীয় ভীতি-প্রদর্শন)-এর আওতায় ফেলা হবে।