নৃশংস এমন ঘটনাই ঘটেছে মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে৷ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম বিজয় বাট্টু৷ পেশায় দর্জি ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে শোলাপুরেই থাকতেন৷
তবে ছেলেকে খুন করে সেকথা প্রথমে সবার থেকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল বিজয়৷ তার স্ত্রীও কিছু টের পাননি৷ এমন কি, গত ১৩ জানুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে ছেলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগও জানিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি৷
advertisement
আরও পড়ুন: রোজ রাতে বিকৃত যৌন তাড়না! স্বামীর গোপনাঙ্গে ‘হামলা’ স্ত্রীর, হাসপাতালে যুবক
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ৷ কয়েক দিন পরে ওই দম্পতির বাড়ির কাছেই একটি ড্রেন থেকে বিশাল নামে ১৪ বছর বয়সি ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, বিশালের শরীরে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রেটের নমুনা মিলেছে৷ এর পরেই খুনের মামলা রুজু করে ওই কিশোরের পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ৷
তদন্ত চলাকালীন মৃত কিশোরের বাবা বিজয়ের দেওয়া তথ্যয় অসঙ্গতি পায় পুলিশ৷ এরই মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি বিজয় নিজের স্ত্রীর কাছে ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করে৷ বিজয় জানায়, ছেলে বিশাল অন্যান্য সহপাঠীদের বিরক্ত করার পাশাপাশি পড়াশোনায় মন না দেওয়ায় বার বার ছেলের স্কুল থেকে তার কাছে অভিযোগ জানানো হচ্ছিল৷ শুধু তাই নয়, যেভাবে ছেলে নীল ছবির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল তাতেও হতাশা গ্রাস করেছিল বিজয়কে৷
শেষ পর্যন্ত গত ১৩ জানুয়ারি বিশালকে নিজের বাইকে করে নিয়ে বের হয় বিজয়৷ এর পর সোডিয়াম নাইট্রেট মেশানো একটি পানীয় ছেলেকে খেতে দেয় সে৷ বিশাল সেই পানীয় খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে ছেলের দেহ বাড়ির কাছে ওই ড্রেনে ফেলে দেয় বিজয়৷
স্বামীর এই স্বীকারোক্তির পর বিজয়ের স্ত্রী নিজেই পুলিশে খবর দেন৷ এর পরেই বিজয়কে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ৷