এই ছবির পরই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে কোনরকম পরিচয় ছিল অভিযুক্তর। নিউজ18-বাংলার পক্ষ থেকে সিএবি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে তারা চেনেন না। কোনদিনও পরিচয় হয়নি।" তাহলে ছবিতে কি করে একসঙ্গে এলেন সিএবি কর্তারা? অভিষেক স্পষ্ট করে জানান, "করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রয়োজন ছিল। সেই সময় সিএবির পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করে আইএমএ। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেনের হাত থেকে আমরা সেই সামগ্রী গ্রহণ করি। সেই সময় যারা আইএমএর পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাদের মধ্যে এই দেবাঞ্জন ছিলেন। ৩-৪ জন লোক একসঙ্গে ছিল। সেই সময় একটি ছবিতে দেবাঞ্জন ঢুকে পড়েন। তবে তারপর থেকে এই দেবাঞ্জনকে কখনো ইডেনে দেখা যায়নি। আইএমের তরফ থেকে পিপিই দেওয়া হয় সেগুলো কাজে লাগানো হয়েছিল ক্রিকেট মাঠের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের স্বার্থ রক্ষার্থে। তবে অভিযুক্ত সঙ্গে সিএবির কোন রকম সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই।"
advertisement
অন্যদিকে এদিনই অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছবি থাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিবৃতি দেন শান্তনু সেন। শুক্রবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে শান্তনু জানান, "দেবাঞ্জন দেব এই মুহূর্তে শহরের আলোচিত নাম, যিনি ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে আমাকে দেখানো হচ্ছে। সেই ছবি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমার এখনও মনে রয়েছে, মূলত কোভিডের প্রথম পর্যায়ের সময়ে অনেক সংস্থা ও ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হাসপাতাল, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিতরণের জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, পিপিই কিট দান করেছিলেন। ওই লোকটি তাঁদের মধ্যে অন্যতম হতে পারে বলেই আমার মনে হয়। তবে দেবাঞ্জন আইএএস নয়, নিজেকে অন্যান্যদের মতো সমাজকর্মী হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন।" এই প্রতারকের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই আর্জিও জানিয়েছেন শান্তনুু সেন। আইএমএর তরফেও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ERON ROY BURMAN
