ইডি সূত্রে খবর, বুধবার শহরে যে ১.৪০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালী যোগ। তাদের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা রয়েছে কয়লা পাচারের টাকা অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি তার ঘনিষ্ঠ মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিত্তি ভাইয়ের মাধ্যমে একটি সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ ইডির। এখানেই শেষ নয়, শরৎ বোস রোডে যে গেস্ট হাউজ কেনার জন্য বিনিয়োগ, ইডি সূত্রে দাবি সেই সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য ১২ কোটি টাকা। কিন্তু কাগজে কলমে তা দেখানো হয়েছে তিন কোটি টাকা। বাকি ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন হবে সেই তথ্য গোপন সূত্রে পেয়ে তল্লাশির ছক কষে ফেলে ইডি। সেই মত বুধবার সকাল থেকেই বালিগঞ্জে গজরাজ গ্রুপের আশপাশে নজর রাখা শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- আবার টাকা শহরে, এবার গড়িয়াহাট মোড় থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়
নজরদারি চলে আলিপুর রেজিস্ট্রি অফিসের পাশেরও। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটা। একটি এসইউভি গাড়ি এসে থামে গজরাজ অফিসের সামনে। স্যুটকেস জাতীয় ব্যাগ নিয়ে নেমে যান তিন জন। মিনিট ১৫ অপেক্ষার ইডি আধিকারিকরা ঢুকে পড়েন ওই অফিসে। এরপরই নগদ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার। কিন্তু বাকি টাকা? দুটি গাড়ি কোথায় গেল? তারই সন্ধান শুরু করেছে ইডি।
সূত্রের দাবি, ওই দুটি গাড়িতে বাকি নগদ সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। তাই ওই দুটি গাড়ির সন্ধান শুরু করেছে ইডি। এমনকী, ইডির তরফে সরকারি ভাবে যে প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগের কথা বলা হয়েছে সেই ব্যক্তির সঙ্গে কয়লা পাচারকারীর যোগ কোথায় সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইডির দাবি । সূত্রের দাবি, গত বছরই অনুপ মাজি ওরফে লালার ডায়েরি হাতে এসেছে ইডির। সেখানে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি যে লাভবান হয়েছেন, সেই তথ্য রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইডি বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার খবর।
অমিত সরকার