তবে নিহত শ্রদ্ধার খুলি এখনও মেলেনি। খুনের পর শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৪ হাজার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে আফতাব। তাদের ফ্ল্যাটের মালিক জানিয়েছেন, ৩০০ টাকা জলের ভাড়া বাকি থাকাই প্রমাণ করেছে, ঘরে লাশ কেটে সেই রক্ত ধোওয়ার জন্য অতিরিক্ত জল ব্যবহার করেছিল আফতাব। পুলিশের দাবি, নিজের অপরাধের কথা স্বীকারের সময় আফতাবের চোখেমুখে কোনও অনুতাপ দেখা যাচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝগড়া লেগেছিল সংসার খরচ নিয়ে, রাগেই শ্রদ্ধাকে টুকরো টুকরো করে আফতাব: পুলিশ
অতিরিক্ত জলের ভাড়া থেকে পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত, শ্রদ্ধার দেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমে টেনে নিয়ে যায় আফতাব। খুনের পর মদ খেয়ে সেখানে বসেই দেহ টুকরো করে সে। ২৬ বছরের শ্রদ্ধাকে খুন ও টুকরো করার পর নিজের অপরাধ লুকোতে ফোন ওএলএক্সে বিক্রিও করে আফতাব। কোনও ভাবেই যাতে তার নাগাল না পায় পরিবার বা পুলিশ তার পরিকল্পনা করেছিল সে।
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী লড়াই চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা, তবে শারীরিক অবস্থা তীব্র আশঙ্কাজনক
ভাসাইয়ের ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী বলেও পরিচয় দিয়েছিল আফতাব ও শ্রদ্ধা। পুলিশের দাবি, গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব, রাত ৮-১০টার মধ্যে। সারারাত সেই দেহ ঘরেই ছিল। পরদিন ফ্রিজ ও ছুরি কিনে এনে দেহ টুকরো করে আফতাব। শ্রদ্ধার বাবা আফতাবের ফাঁসির দাবি করেছেন।