শহর কলকাতা কিংবা শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে এই চক্র চলছে। সূত্রের খবর অনুযায়ি, রাত্রি হলেই কয়েকজন যুবক,যুবতী গাড়ির মধ্যে বসে, কিম্বা কোনও ঘরে বসে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিদেশে টেকনোলজি সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে ভুয়ো ফোন করছে।সেই পন্থায় প্রতারণা করছে লক্ষ-লক্ষ টাকা।
advertisement
চলতি বছরের জানুয়ারির ২৪ এবং ২৫ তারিখ নাগাদ কানাডার ওটাওয়ার এক মহিলা,ডনা হেগার্টি পটাস, কানাডিয়ান ইন্টারপোলের কাছে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দুই ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে কানাডিয়ান ৮ হাজার ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা টেক সাপোর্টের নাম করে জমা নিয়েছে। তাঁরা নিজেদের কানাডার প্রখ্যাত টেলিকম সংস্থা -বেল কমিউনিকেশনস-র কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল। পরে তিনি জানতে পারেন সেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো।
ইন্টারপোলের দিল্লি দফতরের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। তারপর কলকাতা পুলিশ স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে জানতে পারে, যে দুটি অ্যাকাউন্টের দু-কিস্তিতে টাকা জমা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট দুটি একবালপুরের বাসিন্দা জুনেদ আনসারি ও গার্ডেনরিচের সাদাব আলমের। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে শেখ আনসারি সহ মোট ৬ জনকে উত্তরপ্রদেশের সরোজিনী নগর থেকে গ্রেফতার করে। সেখানে আনসারি একটি ভুয়ো কল সেন্টার চলাচ্ছিল।
পুলিশ তাজ্জব হয়ে গেছে এদের কাজকর্ম দেখে। অনেকের বক্তব্য,এই ধরনের সাইবার প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে বিদেশের বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। কিছুদিন আগে আমেরিকান এক বৃদ্ধ প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা পার্ক সার্কাসের এক হ্যাকারের কাছে খুইয়ে ছিলেন। অবশেষে সেই হ্যাকারও গ্রেফতার হয়। তবে এইধরণের অপরাধের পরিমাণ বাড়ছে।
SHANKU SANTRA