ঠিক একই কায়দায় জালিয়াতি চলছে বাস্তবেও। এমনকী বাস্তবের জালিয়াতদের দক্ষতা সিনেমার অভিনেতাদেরও হার মানাতে পারে। উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় খোঁজ মিলেছে এমনই এক দুষ্টচক্রের। জানা গিয়েছে, বহু গ্রামেই ‘স্পেশাল ছাব্বিস’-এর কায়দায় অভিযান চালিয়ে লুটের পরিকল্পনা করে এক দল প্রতারক। সাধারণ মানুষের বাড়ি, দোকান ইত্যাদি ছিল তাদের লক্ষ্য।
advertisement
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে পেরেছে আগ্রা পুলিশ। গ্রামীণ এলাকায় ভুয়ো আয়কর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে কিছু লোক স্থানীয় দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হানা দিচ্ছে বলে অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশও। সেই সময়ই গ্রেফতার করা হয় সাত দুষ্কৃতীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, ৮টি মোবাইল ফোন। জাল আই কার্ড, আধার কার্ড, ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অপরাধীরা ‘স্পেশাল ছাব্বিস’ সিনেমাটি দেখেই একটি দল গঠন করে। হুবহু সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো করেই ভুয়ো আয়কর আধিকারিক সেজে বসে তারা। সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাইয়া থানা এলাকায় ‘অভিযান’ শুরু করে। সাধারণ গৃহস্থ বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস ও দোকানে ‘অভিযান’ শুরু হয়। ভয় দেখিয়ে প্রথমে শাস্তির কথা বলা হত। তারপর আইনি মামলা বন্ধ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হত। বিনিময়ে চাওয়া হত মোটা টাকা। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই প্রতারণা চলছিল বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ।
আগ্রার ডিসিপি সুরজ রাই জানান, সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরেছিল সাইয়া গ্রামীণ এলাকায় প্রতারণা চলছে। ভুয়ো আয়কর আধিকারিক সেজে মানুষকে ভয় দেখিয়ে চলছে লুটপাট। আইনি অভিযান বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে মোটা টাকা আদায় করত দুষ্কৃতীরা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হানা দিয়ে সায়ান তেহরা উড়ালপুলের কাছে সাত দুষ্কৃতীকে অপরাধীকে ধরে ফেলে পুলিশ। এদের সকলের বাড়িই দিল্লি এলাকায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।
