থাঞ্জাভুর জেলার বাসিন্দা ওই কিশোরীর গর্ভাবস্থার ২৫ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছিল৷ তা সত্ত্বেও এই অনুমতি দেয় আদালত৷
ওই নাবালিকার মামার আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি আর পোঙ্গিয়াপ্পন৷ ওই নাবালিকার মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই তার বাবা এবং দাদু তার উপরে শারীরিক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ৷ পকসো আইনে মামলা রুজু করে দু' জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
advertisement
'মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট' অনুযায়ী গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পার হয়ে গেলে আর গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যায় না৷ কিন্তু ওই আইনের ৫ নম্বর ধারায় কয়েকটি ব্যতিক্রমের উল্লেখ রয়েছে৷ রায় দিতে যে পর্যবেক্ষণের কথা বলেন বিচারপতি৷
ওই নাবালিকার গর্ভপাত করানো সম্ভব কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য থাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিনকে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টেও বলা হয়, নির্দিষ্ট সীমা পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিতার সামাজিক অবস্থান এবং তাঁর মানসিক পরিস্থিতির কথা বিচার করে গর্ভপাত করা যেতে পারে৷
এর পাশাপাশি বিচারপতি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির কথা বিচার করে গর্ভপাতের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে৷
ওই কিশোরীর স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে চিকিৎসকদের দিয়ে গর্ভপাত করানোর জন্য থাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিনকে নির্দেশ দেয় আদালত৷ পাশাপাশি, যেহেতু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি চলছে, তাই প্রমাণ হিসেবে ভ্রূণের নমুনা যেন সংরক্ষণ করে রাখা হয়৷
