TRENDING:

মৃত বাবার গলাতেই কথা বলতেন ললিত, বুরারি কাণ্ডে শুরু সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি

Last Updated:

বিশেষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা জানতে এবার মৃতদের সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি শুরু করলেন তদন্তকারীরা ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#দিল্লি: এক সঙ্গে একই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু, নোট নিয়ে বুরারি কাণ্ডে তদন্তে ধোঁয়াশা কাটছে না কোনও ভাবেই । কোনও বিশেষ গডম্যান-এর দ্বারে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা এই কাজ করেছেন, নাকি কোনও বিশেষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা জানতে এবার মৃতদের সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি শুরু করলেন তদন্তকারীরা ।
advertisement

কী এই সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি?

মনোবিদরা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে মৃতদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে, তাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট ও তাদের সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয় মৃতরা কোনও শেয়ারড সাইকোসিস ডিজঅর্ডারের শিকার হয়েছিলেন কিনা । এর আগে সুনন্দা পুষ্কর ও আরুষি তলওয়ার মৃত্যু রহস্যেও সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সির সাহায্য নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা ।

advertisement

শেয়ারড সাইকোসিস ডিজঅর্ডার কী ?

সাধারণত নিকট আত্মীয়, কাছের বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায় । এক্ষেত্রে কেউ কোনও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে, তার আত্মীয়-বন্ধুরা সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও তাদের মধ্যেও সেই সমস্যার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে । ভাটিয়া পরিবারের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিছুদিন ধরেই মৃত বাবার কথা বলার ধরন, গলার আওয়াজ নকল করতে শুরু করেছিলেন পরিবারের তৃতীয় ছেলে ললিত ভাটিয়া । বুরারি কাণ্ডের তদন্তে বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস-এর সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারীরা ।

advertisement

আরও পড়ুন: এই সেই ভাটিয়া পরিবারের ১১ জন, যাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় দেশ

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

চিকিত্সক রজত মিত্র তদন্তকারীদের জানান, এই ধরনের ক্ষেত্রে একজন হন মূল আক্রান্ত । বাকিরাও সেই মানসিক সমস্যা 'শেয়ার' করলে তাকে শেয়ারড সাইকোসিস ডিজঅর্ডার বলা হয় । তারা তখন নিজেদের বিচারবুদ্ধি হারান এবং মূল আক্রান্তকেই তাদের পথপ্রদর্শক মনে করতে থাকেন । তার রিয়ালিটি হয়ে ওঠে বাকিদের রিয়ালিটি । পরিবারের সকলেই ৪৫ বছরের ললিতকেই পরিবারের মাথা মানতে শুরু করেছিলেন । ললিতের কথামতোই চলতেন পরিবারের সদস্যরা । তবে সম্ভবত ললিতের স্ত্রী টিনার মধ্যে প্রথম শেয়ারড সাইকোসিস ডিজঅর্ডারের লক্ষণ দেখা যায় । যার থেকে ধীরে ধীরে এই চরম পরিণতির দিতে এগিয়ে যেতে থাকে ভাটিয়া পরিবার ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
মৃত বাবার গলাতেই কথা বলতেন ললিত, বুরারি কাণ্ডে শুরু সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি