রাহুল গান্ধি বলেছেন, 'আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বিচার ছাড়া আর কিছুই চান না। তাঁদের দাবি, কোনও সুবিচার হয়নি এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে না। আমি তাঁদের পাশে রয়েছি। যতক্ষণ না তাঁরা বিচার পাচ্ছেন রাহুল গান্ধি তাঁদের পাশে রয়েছেন।' পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা হলেন শ্মশানের এক পুরোহিত নাম রাধে শ্যাম। তাঁর সহযোগী ছিলেন কুলদীপ কুমার (৬৩), লক্ষ্মী নারাইন (৪৮) এবং মহম্মদ সেলিম (৪৯)।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, ৯ বছরের ওই নাবালিকার বাড়ি দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পুরানা নাঙ্গলে। গ্রামে তার বাবা -মায়ের সাথে শ্মশানের সামনে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত মেয়েটির পরিবার। রবিবার সন্ধেয় শ্মশানের কুলার থেকে পানীয় জল আনতে যায় সে। তারপর আর ফেরেনি।
পরিবারের দাবি, কয়েকজন এসে নাবালিকার মাকে শ্মশানে ডেকে নিয়ে যায়। অভিভাবককে জানানো হয়, জল নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে নাবালিকা। পরিবারের লোকের অভিযোগ, মৃতের মাকে বোঝানো হয়, মামলা দায়ের করলে ময়নাতদন্ত হবে। তাহলে তাঁর মেয়ের অঙ্গ চুরি করা হবে। তাই অবিলম্বে তার দেহ দাহ করে দেওয়া হোক। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
দিল্লির ঘটনার প্রসঙ্গে ট্যুইটে মন্তব্য করে সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় গিয়ে তাঁর ট্যুইট, 'দেশের রাজধানীতে, একটি নয় বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে, জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের তফশিলি উপজাতির মেয়েদের প্রতিদিন যে ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাতে বোঝা যায় আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যিই কতটা অসংবেদনশীল। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার মুখে। সম্প্রতি যিনি দিল্লির পুলিশ কমিশনার হয়েছেন, অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ সেই রাকেশ আস্থানা কি এর মধ্যেই নিজের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন? নাকি আসলে তাঁকে অন্য কোনও কাজের দায়িত্ব দিতেই আনা হয়েছে?'