কোথাও সিসি ক্যামেরা দেখা গেলেও চোরের সন্ধান পাওয়া যায় না। এইরকম অভিযোগ গড়িয়া স্টেশন এলাকার সাধারণ মানুষ এবং দোকানদারদের মধ্যে। গত বুধবার একটি চুরি রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে দোকানদারদের। সমর নস্কর নামে এক ব্যক্তির একটি অর্থোপেডিক এর সরঞ্জামের দোকান রয়েছে,গড়িয়া স্টেশনের পাশেই।বুধবার সন্ধ্যাবেলা সমর বাবু নিজে ফিজিওথেরাপির কাজ করছিলেন দোকানের পেছনে চেম্বারে। সেই সময় তাঁর দোকানের কাজের লোক দোকানের মালপত্র সাজানোর কাজ করছিলেন।
advertisement
আরও দেখুন
সমরবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী একটি হলুদ টি শার্ট পরা ছেলে তার দোকানে আসে। দোকানে এসে কোমরের অর্থপেডিক বেল্ট চায়। প্রথমদিকে ওই ছেলেটি দোকানের সামনে ক্যাশ বাক্সের ডেস্কের উপর ঝুঁকে দাঁড়িয়েছিল৷ দোকান কর্মীর অলক্ষে ড্রয়ারটা টানবার চেষ্টা করছিল। পুরো ঘটনাটিই সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়ে রয়েছে৷
ছেলেটি প্রথমটাতে কোনভাবেই সফল হয়নি। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, য তার দোকানের ভেতরে, দোকানের কর্মীকে মালপত্রগুলো হাতে ধরে সাহায্য করার জন্য ভেতরের দিকে চলে যায়।সেই সময় সে ড্রয়ারের দিকে পেছন ফিরে সুবিধামত ড্রয়ারটা টেনে খুলে রেখে দেয়। এরপর সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়,পরিষ্কারভাবে ছেলেটি টাকা পকেটে ঢুকিয়ে নিচ্ছে সেই ড্রয়ার থেকে৷
দোকান মালিক সমরবাবু প্রথমটাতে কোন কিছু জানতে না পারলেও পরে দেখেন দোকানের ক্যাশের ড্রয়ারে রাখা ১৮ হাজার টাকা নেই। তারপর সিসি টিভিতে সেই যুবকের খারাপ কাজের ঘটনা পরিষ্কার দেখতে পান৷ দেখেই তাঁর চক্ষু চরকগাছ হয়ে যায়। ততক্ষণে চোরের অবশ্য কোনও টিকি নেই৷
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই দিনই সমরবাবু নরেন্দ্রপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ দায়ের করার পর এখনও পর্যন্ত কোনো আসামী ধরা পড়েনি। তবে গড়িয়া স্টেশনে দোকানগুলি যেহেতু স্টেশন সংলগ্ন। সেহেতু বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা এসে চটজলদি তাদের অপরাধ কর্ম করে ভিড়ে মিশে বেরিয়ে যাচ্ছে।যার ফলে পুলিশের পক্ষেও অপরাধী ধরা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ছে। পুলিশের নজরদারি নিয়ে সবাই প্রশ্ন তুলছে।
Shanku Santra