পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে নলহাটিতে এক কৃষক পরিবারে বিয়ে হয় যুবতীর। তারপর থেকে সংসারই করতেন তিনি৷ তবে এরই মাঝে ওই গৃহবধূর আলাপ হয় বছর চব্বিশের রাকেশ কুমার পান্ডে নামে এক যুবকের সঙ্গে৷ নেপালের জলেশ্বর থানার হালখড়ির বাসিন্দা সে৷ ফেসবুকের মাধ্যমেই আলাপ (love on Facebook) হয় দু’জনের। সেখান থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা৷ শুরু হয় ফোনালাপ এবং দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে ওই যুবক ওই গৃহবধূকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়। বাড়ির বৌমা যে বিবাহবর্বিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, ঘুনাক্ষরেও টের পাননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
advertisement
এর পরই প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে মে মাসের ২৩ তারিখ ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজ হওয়ার পর গৃহবধূর বাবা নলহাটি থানার দ্বারস্থ হন এবং নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে৷ অপহৃত গৃহবধূর বাবার মোবাইল নম্বরে একটি অচেনা ফোন আসে। আর সেই ফোন নম্বর থেকে দাবি করা হয় তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ছয় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হবে। না হলে যুবতীকে বিক্রি করে দেওয়া হবে৷
অপহরণের এই ফোন পেয়ে ওই গৃহবধূর বাবা পুনরায় নলহাটি থানা এসে পুরো বিষয়টি জানান। নিখোঁজের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অন্য মোড় নেয়৷ সঙ্গে সঙ্গেই নলহাটি থানার পুলিশ অপহৃত গৃহবধূর বাবার মোবাইল নম্বরে আসা ফোন নম্বর ধরে তদন্ত শুরু করে। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে জানা যায় নম্বরটি সুরাতের৷ তারপর সেখানে বীরভূম পুলিশের একটি স্পেশাল টিম পৌঁছায় এবং স্থানীয় থানার সহযোগিতায় একটি স্থানীয় বস্তি থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গৃহবধূকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার পর বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয় এবং পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি তার বাবা, এমনই জানিয়েছেন তিনি।