শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল সুনামির সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ফিসচুলায় কষ্ট পাচ্ছেন। চিকিৎসা প্রয়োজন। বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, যথাসাধ্য ভাল চিকিৎসা দেওয়ার। এরপর এ দিন শনিবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিশেষ এমার্জেন্সি নেই অনুব্রত মণ্ডলের। নেই সার্জিক্যাল এমার্জেন্সিও।শারীরিক সমস্যার জন্য যে সমস্ত ওষুধ তিনি খাচ্ছেন, সেগুলি যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কলকাতার পাশেই আছে আর এক 'কলিকাতা'! জানেন কোথায় এই যমজ শহর?
প্রসঙ্গত, এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিভাগ ছাড়াও সার্জিক্যাল বিভাগের চিকিৎসক এবং দুজন নার্স ছিলেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিশেষ মেডিকেল এমার্জেন্সি নেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের।
উল্লেখ্য, এ দিন সকাল সাড়ে দশটার পর গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার জন্য হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের কিছুটা অংশ কড়া পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।
অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, সার্জিক্যাল ও মেডিসিনের ডাক্তাররা চিকিৎসা করেছেন। এই মুহূর্তে সার্জিক্যাল কোনও এমার্জেন্সি নেই। এ দিন অনুব্রত মণ্ডলের ব্লাড প্রেসার ছিল ১০৬/৮০ , পালস রেট ৮২ , অক্সিজেন মাত্রা ৯৬ শতাংশ ও ওজন ৯৫ কেজি।
Nayan Ghosh





