এক যুবকের বিবাহবিচ্ছেদ মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু লক্ষ টাকারও বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাপ্পাদিত্য সাহা নামে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে । আজ, সোমবার বাঁশদ্রোণী থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে বাপ্পাদিত্যের বিরুদ্ধে । অভিযোগকারী শৌভিক দেবনাথের অভিযোগ, নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের চিফ সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বাপ্পাদিত্য সাহা। এই মর্মে চলতি মাসেই নগদ দু' লক্ষ টাকা অভিযোগকারীর কাছ থেকে বাপ্পাদিত্য নেন বলে অভিযোগ। টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে স্টেট হিউম্যান রাইটস কমিশন লেখা একটি রসিদও দেওয়া হয় বলে দাবি অভিযোগকারীর।
advertisement
দু' লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও অভিযুক্ত বাপ্পাদিত্য শৌভিকের কাছে আরও টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। মামলার নিষ্পত্তি করতে আরও পনেরো হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। শেষ পর্যন্ত পনেরো হাজার টাকা না মেটালেও অভিযোগকারীর দাবি, এই মাসের মাঝামাঝি তিনটি পর্যায়ে আরও ন'হাজার টাকা তিনি দেন অভিযুক্ত বাপ্পাদিত্য সাহাকে।
অভিযোগকারীর দাবি, বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার নিষ্পত্তি প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলেই অভিযুক্ত 'কাজ হয়ে যাবে' বলে বারবার আশ্বাস দিত। নিজেকে 'প্রভাবশালী' বলে দাবি করে পনেরো দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে দেওয়ারও আশ্বাস দেয় বাপ্পাদিত্য। কিন্তু সেই সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তের গড়িয়ার বাড়িতেও যান অভিযোগকারী। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনও সুরাহা তো পাননি, উল্টে সস্ত্রীক অভিযুক্ত বাপ্পাদিত্য সাহা শৌভিককে হেনস্থা করেন বলেও অভিযোগ।
অভিযোগকারীর আইনজীবী সৌমশুভ্র রায় বলেন, উনি নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের চিফ সেক্রেটারি বলেছেন। কমিশনে এই ধরনের কোনও পদই নেই। অভিযুক্ত অভিযোগকারীকে যা যা কাগজপত্র দিয়েছে তা সবই ভুয়ো'। অভিযোগকারীর আর এক আইনজীবী দেবস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এই ধরনের বিবাহবিচ্ছেদ মামলার নিষ্পত্তি হিউম্যান রাইটসের বিষয়ই নয়। উনি শৌভিক দেবনাথের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। অভিযুক্তের স্ত্রীও নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি বলে পরিচয় দেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারী যুবক। যদিও যার বিরুদ্ধে প্রতারণার মূল অভিযোগ সেই বাপ্পাদিত্য সাহা নিউজ এইট্টিন বাংলাকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। অভিযোগকারীকে কোনও দিন চোখেও দেখিনি। ওঁরই এক বন্ধুর মাধ্যমে ফোনে কথা হয়েছে৷'
ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ষখন সামনে আসছে ঠিক তখনই শহরের আরও এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ১২০ বি, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
VENKATESWAR LAHIRI