আরুষি হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পর জেল থেকে মুক্তি পান আরুষির বাবা-মা, রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার ৷ 2017 সালের 12 অক্টোবর তলোয়ার দম্পতিকে বেকসুর অভিহিত করে মুক্তির নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ মামলায় আদালতে অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে পেশ করা সিবিআইয়ের কোনও প্রমাণই ধোপে টেকেনি ৷ যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না মেলায় বেনিফিট অফ ডাউট দেয় আদালত। মুক্তি পান রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার ৷
advertisement
এর আগে আরুষি ও হেমরাজ হত্যা মামলায় সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার ৷ আদালত তাদের যাবজ্জীবনের সাজা শোনায় ৷ নিম্ন আদালতের সেই রায় খারিজ করে 2017 সালের 12 অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় রাজেশ ও নূপুর নির্দোষ ৷ তাদের বিরুদ্ধে নিজের মেয়ে আরুষিকে খুনের কোনও প্রমাণ নেই ৷ অতএব, সব দায় থেকে মুক্ত তরোয়ার দম্পতি ৷ এই রায়ে তীব্র অসন্তুষ্ট হয় সিবিআই ৷
আর কয়েকদিন বাদেই ১৮ বছরের জন্মদিন সেলিব্রেট করার কথা ছিল তার ৷ কিন্তু ২০০৮ সালের ১৫-ই মে গভীর রাতে নিজের শোয়ার ঘরে খুন হয় আরুষি। প্রথমে তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা পরিচারক হেমরাজের নাম । কিন্তু পরেরদিনই মামলার মোড় ঘুরে যায় ৷
তরোয়ারদের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় হেমরাজের দেহ। দু’জনকে খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে তলোয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে। দেশে আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই খুনের তদন্ত প্রথমে শুরু করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। পরে সিবিআই-এর হাতে যায় তদন্তভার। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সিবিআই আদালত।
২০১৩ সাল থেকে জেলে ছিলেন তলোয়ার দম্পতি। সিবিআই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেন তালোয়ার দম্পতি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় ৷
এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের রাযের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে সিবিআই ৷ এর আগে 2017 সালেরই ডিসেম্বর মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রাযকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দাযের করেন নিহত হেমরাজের স্ত্রী ৷ তাঁর দাবি ছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায অনুাযায়ী আরুষি-হেমরাজকে কেউই খুন করেনি ৷ প্রক়ত খুনীকে খুঁজে বের করার দাবিতে তিনি ওই মামলা দায়ের করেন ৷