মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিশুটি বুধবার বিকেলে বাবার (পেশায় জেলে) সঙ্গে নদীতে গিয়েছিল। বাবা যখন স্নান করতে নদীতে নামে, সে তখন পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু স্নানের পরে উঠে বাবা আর তাকে দেখতে পাননি। বাড়ি ফিরে গিয়েছে বা অন্য কোথাও খেলছে ভেবে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সকলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান, শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয় নিকটবর্তী সোফিয়াবাদ থানায়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে নদীর দিকের একটি ইট ভাঁটায় রক্তাক্ত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
advertisement
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যে এলাকা থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয় এ দিন সকালে সেখানেই তাকে রাতভর ধর্ষণ করে, তারপর শ্বাসরোধ (strangulation) করে খুন করা হয়। দেহ উদ্ধারের সময় সারা দেহ রক্তাক্ত ছিল। মুঙ্গেরের ডিএসপি (Deputy Superintendent of Police) নন্দজি প্রসাদ বলেন, শিশুটিকে কীভাবে মারা হয়েছে ময়না তদন্তের (post-mortem) রিপোর্ট আসার পরে সঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে। দেহ ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তেপাঠান হয়েছে। তবে কে বা কা এই ঘটনা ঘটয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ধর্ষকদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বেজায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।