ঘটনা আহমেদাবাদের বাপুনগরের৷ ওই ব্যক্তির নাম রাজেশ বলে জানা গিয়েছে৷ ৬১ বছর বয়সি ব্যক্তির স্ত্রী রয়েছেন৷ রয়েছে ৩ কন্যা ও ১ পুত্র৷ উচ্চপদে কর্মরত তিনি৷ তাই তাঁর কাছে চাকরির আবেদন করে বহু মানুষই যোগাযোগ করেন৷ সেই সুযোগটি কাজে লাগান এই মহিলা৷ আদতে এভাবে টাকা তোলার এক চক্র কাজ করে, জানিয়েছে পুলিশ৷ সুন্দরী মহিলারা তাঁদের রূপ-যৌবনের প্রলোভনে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করে৷ টাকা না দিতে চাইলেই ধর্ষণের অভিযোগের হুমকি দেওয়া হয়৷ যাঁদের এই জালে ফাঁসানো হয়, তাঁরা সকলেই সমাজে পরিচিত৷ তাই এমন ঘটনা গোপন রাখতে টাকা দিতে বাধ্য হন তাঁরাও৷ এই ভাবেই চলে হানি ট্র্যাপের ব্যবসা!
advertisement
আরও পড়ুন স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ, যৌনাঙ্গ 'সেলাই' করে দিল স্বামী!
এই বিষয় কোনও ধারণাই ছিল না রাজেশের৷ ফলে কিছুটা ভাল সময় কাটাতে তিনিও মহিলার ডাকে হোটেলে যান৷ কিন্তু সেখানে মহিলার আচরণে তাঁর সন্দেহ হয়৷ তারপরই তাঁর থেকে ১৩ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন ওই ধান্দাবাজ মহিলা৷ চলে ক্রমাগত হুমকি৷ এরপর রাজেশ পরিস্থিতি মিটমাট করে ১ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন৷ তবে এত কম টাকায় রাজি না হয়ে পুলিশে ফোন করে দেন মহিলা৷
পরে বাপুনগর থানার পুলিশ আসে সেখানে৷ প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ এমন আরও অভিযোগ দায়ের হয়েছে অমিষ খুশওয়াবা, বিকাস গোয়েল, রাজেশ ভাধের, অল্পা, আরতির বিরুদ্ধে৷ পুলিশ ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করেছে৷