পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই এমন সাংসারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি হত। শুক্রবারও একই ভাবে দু'জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। আচমকাই স্ত্রী রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে স্বামীকে কোপাতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় শচিনের। বুকের মধ্যে একাধিক কোপের আঘাত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুরুগ্রামের এসপি ক্রাইম প্রীতপাল সিং বলেছেন, 'জ্যোতি পার্ক কলোনিতে ঘটেছে এই কাণ্ড। দুই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে স্বামীকে কোপায় স্ত্রী। আইপিসি অনুযায়ী একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।' শচিনের ভাই নীরজ বৌদি গুঞ্জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। শচিনের দুই বোনও পুলিশের কাছে সুবিচারের দাবি করেছেন।
advertisement
শচিনের বোন রেশমা জানিয়েছেন, '১১ বছরের মেয়েকে বৌদি শিখিয়েছে পুলিশকে বলতে বাবা নিজেই নিজেকে ছুরি মেরেছে। কিন্তু এটি আসল ঘটনা নয়। ওই মহিলাই আমার দাদাকে খুন করেছে।' পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত গুঞ্জনের দাবি, তার হাত থেকে ছুরি ছিনিয়ে নিতে গিয়ে বুকে বিঁধে যায় সেটি। তার পরই ভয়াবহ রক্তপাত হতে শুরু করে। শচিনের ভাই নীরজ দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মৃত্যু হয় শচিনের।
