যুবতীর বাবা দাবি করেছেন, মেয়ের শ্বশুর তাঁকে ফোন করে জানান, মেয়ে সামান্য কিছু পুড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। মেয়েকে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুরিন্দরপাল সিং বলেছেন, 'আমি কোনও সময় নষ্ট না করেই হাসপাতালে চলে যাই। কিন্তু মেয়েকে সেখান থেকে পাতিয়ালার রাজেন্দর হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার সময়ই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি যখন শেষে ওর দেহ দেখতে পেলাম তখন দেখি, ওর সারা শরীর পুড়ে গিয়েছে।'
advertisement
এর পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুরিন্দরপাল সিং। মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য শ্বশুরবাড়িতে চাপ দেওয়া হত বলে দাবি করেছেন তিনি। বিয়ের রাত থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রায় তিন বছর ধরে বলরাম সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল মেয়ের। তাঁদের এক বছরের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। কিন্তু তার পরেও পণ নিয়ে চাপ দেওয়া বন্ধ করা হয়নি।
সুরিন্দরপাল সিং বলেছেন, এর আগেই বলরাম বার বার হুমকি দিয়েছে, মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য। না নিলে মেয়েকে খুন করবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, 'আমার জামাই মাঝে মাঝেই বলত আমার মেয়েকে খুন করবে। যদি বাড়ি নিয়ে না যাই তবে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিত। ইশ, যদি মেয়েকে নিয়ে আসতাম তাহলে ও আজ বেঁেচ থাকত।' পুলিশ সুরিন্দরপাল সিংয়ের অভিযোগ পেয়েই মনদীপের স্বামী বলরাম, শ্বশুর চাঁদ সিং, শাশুড়ি রাজবন্ত কওর, ননদ রাজবিন্দর কওর ও দেওর কুলবীর সিংকে পণপ্রথার জেরে মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার করেছে।