পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ২২ বছরের অনীশ একজন চিত্রশিল্পী। ভালবেসে বিয়ে করেছিল হরিতাকে। সেপ্টেম্বরে পালিয়ে গিয়ে একটি স্থানীয় রেজিস্ট্রেশন অফিসে বিয়ে করে তাঁরা।
শুক্রবার অনীশ এবং হরিতার বিয়ের তিন মাস সম্পূর্ণ হয়। অনীশ এবং তাঁর ভাই কেনাকাটা করার জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। মালামকুলাম্বু অঞ্চলে হরিতার বাবা এবং কাকা অনীশের উপর হামলা করে। তাঁকে রাস্তার মধ্যেই মারধর করা হয়। জখম অবস্থায় অনীশকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হরিতার বাবা প্রভুকুমার এবং কাকা সুরেশ এখন পুলিশের হেফাজতে।
advertisement
উভয়ের মনের মিল থাকলেও অনীশ ছিলেন নিচু জাতের। কল্যাণ ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তিনি। অন্য দিকে হরিতা ছিলেন তামিল পিল্লাই সম্প্রদায়ের। হরিতা পরিবারের সদস্যরা এই বিয়েতে মত দেয়নি। কারণ অনীশের পরিবার অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল ছিল এবং সমাজে হরিতার পরিবারের চেয়ে কম মর্যাদা পেত।
অনীশের বাবা অরুমুগাম একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনীশকে হরিতার বাবা প্রায় হুমকি দিতেন। তাঁদের বিয়ে তিন মাসের বেশি টিকতে দেবেন না বলে হরিতার পরিবার সাফ জানিয়েছিল। যার জন্য বিয়ের পরে অনীশ বাড়ির বাইরে বেশি বেরোতেন না।
এই ঘটনার তদন্তে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত করার পরেই অনীশের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। অনীশের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁর করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তাঁর উভয় উরুর উপরে ছুড়ির দাগ এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।