TRENDING:

বন্যার জলে নেমে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

Last Updated:

বন্যার জলে নেমে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মালদহ: জলের তলায় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত দেড় কোটি মানুষ। একইসঙ্গে ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ ৷ নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কথা বলেন বন্যা বিধ্বস্ত মানুষদের সঙ্গে ৷ ত্রাণ সাহায্য নিয়ে আশ্বস্ত করেন তাদের ৷
advertisement

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকমাস আগেই বিহারে নদীবাঁধ ভেঙে দেওয়া হয়। নদীগুলির ড্রেজিংও বন্ধ। এর জেরেই বন্যা পরিস্থিতির মুখে উত্তরবঙ্গ। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর ঘোষণা, সবরকমভাবে বন্যাদূর্গতদের পাশে থাকবে রাজ্য। ত্রাণ ও পুর্নবাসনকে অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুখ্যমন্ত্রী একই আশ্বাস দেন ৷

advertisement

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বন্যাদূর্গত মানুষদের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে বেশ কয়েকজন বন্যাদুর্গতকে উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়।

ত্রাণ ও তারপরে পুর্নবাসনের কাজই আপাতত রাজ্যের অগ্রাধিকার। এজন্য যা প্রয়োজন করা হবে বলেও আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। বন্যার জল নামলেও থাকবে রোগ প্রতিরোধ ও আশ্রয়ের সমস্যা। এব্যাপারেও সবরকমভাবে বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। আশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

advertisement

কেন্দ্রের ভুল নীতিতেই বানভাসি উত্তরবঙ্গ। জলের তলায় মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলা। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বন্যা পরিস্থিতি এই আকার নিল কেন? রাজ্য সরকারের রিপোর্টের কথা তুলে ধরেই আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি সরকারকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন,

advertisement

‘কেন্দ্রের নীতিতেই বন্যা পরিস্থিতি ৷ নদীবাঁধ ভাঙার ফল ভুগছে বাংলা ৷’

জলের তলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সোমবার সকাল থেকে মহানন্দার জল বাড়ায় আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে জলাধারগুলির ড্রেজিং হয়নি বলে অভিযোগ। এজন্যও কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন,

advertisement

‘জলাধারগুলির ড্রেজিং করা হচ্ছে না ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত কেন্দ্রের ৷ বন্যায় দেড় কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ৷ বন্যায় ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ অসম-গুজরাতের চেয়ে কম বন্যা হয়নি বাংলায় ৷ ত্রাণ দিতে অবহেলা করে না রাজ্য সরকার ৷ টাকার জন্য ত্রাণ বণ্টন আটকাবে না ৷ সবাই যেমন সাহায্য পাচ্ছে ৷ বাংলারও সেই সাহায্য পাওয়া উচিত ৷ কেন্দ্রকে ন্যায্য দাবি জানাবে রাজ্য ৷’

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বন্যার জলে নেমে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী