গতকাল সোমবার গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী ৮টা ১৬ মিনিটে এটি ভেঙে পড়ল।
বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গবেষকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীতে ভেঙে পড়বে চিনের মহাকাশ যান তিয়ানগং-১। তবে সঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারেননি। অবশেষে গতকাল সেটি ভেঙে পড়ল।
মহাকাশ যানটির সঙ্গে চিনের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল ৷ সেই কারণেই পৃথিবীর কোন অংশে এই মহাকাশ যানটি ভেঙে পড়তে চলেছে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে বলা যায়নি ৷ তবে এই মহাকাশ যানটি পৃথিবীর বুকে ভেঙে পড়া নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা ৷ কারণ পৃথিবীতে প্রবেশের আগেই এর অধিকাংশ অংশই পুড়ে যাবে বলেই নিশ্চিত ছিলেন তাঁরা ৷ আর সেই মতোই ঘটনাটি ঘটলো ৷
advertisement
হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক জোনাথান ম্যাকডোয়েলের তথ্যানুযায়ী, মানুষের তৈরি নিয়ন্ত্রণহীন ৫০তম বস্তু হিসেবে পৃথিবীতে পড়ল তিয়ানগং।
২০১১ সালে মহাশূন্যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে এই মহাকাশ যানটিকে পাঠায়েছিল চিন। ২০২২ সাল নাগাদ মহাশূন্যে মহাকাশ স্টেশন তৈরির লক্ষ্যে এ মিশন শুরু করে দেশটি।
২০১৬ সালেই ১০ মিটার দীর্ঘ টিয়ানগং মডিউলটির সঙ্গে চিনা গবেষকেদের সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসছিল। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নেতৃত্বে ১৩টি মহাকাশ সংস্থা রাডারসহ নানা অপটিক্যাল যন্ত্রপাতি দিয়ে ওই মহাকাশ যানটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।