মৌলিক ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি: খরচ বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেটা একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেটা হল মৌলিক কর ছাড়ের সীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার ভাবনা। মৌলিক ছাড়ের সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হলে উপার্জনকারী আবাসিক ব্যক্তিদের উপর হয়ত কোনও প্রভাব পড়বে না, কারণ তাঁরা ধারা ৮৭এ-র অধীনে ছাড় পান। তবে তাঁদের জন্যও বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার প্রয়োজনীয়তা দূর হবে। সবচেয়ে উপকৃত হবেন ছোট করদাতারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম,কলকাতায় কত হল দেখে নিন
ধারা ৮০সি-র সীমা বৃদ্ধি: ধারা ৮০সি-র অধীনে বিনিয়োগ বা প্রিমিয়ামে ১.৫ লাখ টাকা কর ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় এই নিয়মে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বৃহত্তর কর সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ৮০সি ধারার সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সরকারের নয়া উদ্যোগ! এই স্কিমে মিলবে ১ কোটি পর্যন্ত টাকা ঋণ!
ধারা ৮০ডি-র সীমা সংশোধন: ভারতীয় মধ্যবিত্তরা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা-সহ জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা বিমার ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের উপর আর্থিক বোঝা কমাতেও এই থ্রেশহোল্ডের সীমা বাড়ানো উচিত। ডাক্তারের ফিজ, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খরচের মতো স্বাস্থ্য খাতের খরচ অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও ধারা ৮০ডি-র সীমা বাড়ানো প্রয়োজন।
বাড়ির ক্রেতাদের স্বস্তি: মধ্যবিত্তদের কাছে বাড়ি কেনা আজও বিলাসিতা। এই বোঝা উপশম করতেই করদাতারা ২ লক্ষের বর্তমান সীমা থেকে হোম লোনের সুদের হারে ডিডাকশনের সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো: পাঁচ বছর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন চালু হয়। এখন, চিকিৎসা ব্যয় এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ করার দাবি জানাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণী।
