সেই ছোট স্টল থেকেই ‘মি. লিট্টিয়ালা’র জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার লিট্টি বিক্রি হতে শুরু করে এবং এখান থেকেই তিনি তাঁর পথ খুঁজে পান। বর্তমানে গোটা দিল্লিতে তাঁর দোকানের শাখা রয়েছে। মি. লিট্টিওয়ালার একটি শাখা বিনোদ নগরে, দ্বিতীয় শাখা ইন্ডিয়া গেটে এবং তৃতীয় শাখাটি লক্ষ্মীনগরের একটি বড় মলে রয়েছে। মলের ভিতরে মি. লিট্টিওয়ালা বড় বড় রেস্তোরাঁকে কঠিন প্রতিযোগিতায় ফেলেছে, লোকে সে-সব রেস্তোরাঁ ছেড়ে দেশি লিট্টি চোখা খেতে আসছে।
advertisement
এখন স্বপ্ন আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠা! দেবেন্দ্র সিং বলেন, তাঁর স্বপ্ন হল ‘মি. লিট্টিওয়ালা’কে আন্তর্জাতিক করে তোলা, অর্থাৎ বিদেশেও বিক্রি করা। আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনি বিদেশে ‘মি. লিট্টিওয়ালা’র দোকান শুরু করবেন এবং বিদেশের মানুষকে লিট্টি-চোখা খাওয়াবেন। তিনি বলেন, তার প্রস্তুতি চলছে। তাই, ফ্র্যাঞ্চাইজির বিশাল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, তিনি তা দিচ্ছেন না। ‘মি. লিট্টিওয়ালা’ যখন একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে, তখনই তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি দেবেন।
দেবেন্দ্র সিং জানান, তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্টের উপর একটি কোর্স করেন। স্ত্রী একটি সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা। পরিবারের সবাই ভাল চাকরি করেন। দেবেন্দ্র সিং নিজে ৯০,০০০ টাকার চাকরি করছিলেন, কিন্তু যখন তিনি দেখলেন, দিল্লির সবচেয়ে বড়-বড় শপিং মল এবং সর্বত্র ফাস্টফুড বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু বিহারের ঐতিহ্যবাহী খাবার লিট্টি চোখার অভাব রয়েছে, তখন তিনি চাকরি ছেড়ে লিট্টি বিক্রি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সময়, পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, ছেলে পাগল হয়ে গিয়েছে, এই কাজ তাদের পরিবারে লজ্জা বয়ে আনবে। কারণ তাঁরা যে সমাজ থেকে এসেছেন, সেখানে এই ধরনের কাজ ভাল বলে মনে করা হয় না।
তা সত্ত্বেও, তিনি হাল ছাড়েননি। বর্তমানে লিট্টি চোখা বিক্রি করে দেবেন্দ্র সিং-এর টার্নওভার কোটি কোটি টাকা। দেবেন্দ্র সিং বলেন, লিট্টি চোখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি কেবল আটা, ছাতু দিয়ে তৈরি, বেগুন, পেঁয়াজ ও টমেটোর তরকারি এবং সর্ষের তেলের চাটনির সঙ্গে খাওয়া হয়। এতে পেটও ভরে।
