কোভিড ১৯-এর প্রভাবে চলতে থাকা লকডাউন অনেক শিল্পের পাশাপাশি এই দেশের অটোমোবাইল শিল্পকেও প্রায় পথে বসিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি একটু একটু করে যেমন ইতিবাচকতার দিকে এগোচ্ছে, তেমনই গ্রাহকরা পথে নামাচ্ছেন তাঁদের গাড়ি। সে চার চাকা হোক বা দু' চাকা। অনেকে আবার চাষের কাজে জুতে দিচ্ছেন ট্রাক্টর। সব মিলিয়ে কেয়ার সংস্থার নয়া পরিসংখ্যান চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ দেশে গাড়ি বিক্রির উর্ধ্বগতি নিয়ে কী বলছে?
advertisement
খবর জানাচ্ছে যে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ২৬ শতাংশ, টু-হুইলার ১৮.৬ শতাংশ, অন্য বাণিজ্যিক গাড়ি ২৯.৮ শতাংশ আর ট্রাক্টর বিক্রি বেড়েছে ৬৭.৮ শতাংশ! অন্য দিকে আবার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের তরফেও এই বিক্রিবাটা নিয়ে আরেক দফা সমীক্ষা এবং তার হিসেব প্রকাশ করা হয়েছে। সেই হিসেব বলছে যে গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এ দেশে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৬,২০,৬২০টা; চলতি বছরে এই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ৭,২৬,২৩২-এ। একই ভাবে যেখানে গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এ দেশে টু-হুইলার বিক্রি হয়েছিল ৪৬,৮২,৫৭১টা; এ বছর তার জায়গায় হয়েছে ৪৬,৯০,৫৬৫টা!
তবে এত বৃদ্ধির পরিসংখানের পরেও কেয়ার সংস্থার দাবি- ছবিটা ততটাও আশাব্যঞ্জক নয়। লকডাউনের আগে দেশের অটোমোবাইল শিল্পে যে কেনা এবং বেচার জোয়ার এসেছিল, সে জায়গায় না কি পৌঁছতে পৌঁছতে ২০২১ সাল কি ২০২২ সাল হয়ে যাবে!
অবশ্য সব মিলিয়ে আশা ছাড়া উচিত নয়, সে কথা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও জোর দিয়ে বলছে। কিছু দিন আগে এই মর্মে এক খবর প্রকাশ করা হয়েছিল সংস্থার তরফে। যা দাবি করেছে যে লকডাউনের ফলে সারা পৃথিবী জুড়েই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি আবার ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে। দেখা যাচ্ছে যে কেয়ার সংস্থার পরিসংখ্যানও ইঙ্গিত দিচ্ছে সে দিকেই, এর চেয়ে ভালো আর কী বা হতে পারে!