উল্লেখ্য, ২০১১ পর্যন্ত সেভিংস অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকার উপর সুদের হার স্থির করে দিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু এর পর থেকে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির নিজের হাতে। তখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি স্বাধীনভাবে নিজেরাই সুদের হার নির্ধারণ করে।
advertisement
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) ফের সুদের হার বাড়াতে পারে। তখন কিছুটা সুরাহা হবে সাধারণ মানুষের। করোনা আবহে ২০২০-এর ডিসেম্বর থেকে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেটও অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবার তাতেও বদল আসতে পারে। সাধারণত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার পরিবর্তন করলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হারে বদল আনে।
অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ালেও সেভিংস অ্যাকাউন্টে তার প্রতিফলন ঘটতে একটু সময় লাগবে। কারণ বাজেটের কারণে ঘটা মুদ্রাস্ফীতি। প্রত্যেকের ঘরে সেই ধাক্কা এসে লেগেছে। এর কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। এই সময় ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিলে তা শোধ করতে অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি খরচ হবে।
এর মধ্যেও বেশ কিছু ব্যাঙ্ক সেভিংস অ্যাকাউন্টে উচ্চ হারে সুদ দিচ্ছে। তবে সে জন্য মোটা অঙ্কের টাকা জমা রাখতে হবে। যা সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা কষ্টসাধ্য তো বটেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়ার অন্যতম হাতিয়ার হল বিনিয়োগ এবং আরও বিনিয়োগ। তবেই উচ্চ হারে রিটার্ন মেলে। লাভের টাকাও ঘরে তোলা যায়। এসব ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ একেবারে আদর্শ।
করোনা আবহে বাজার কিছুটা অস্থির। এই সময় অনেকেই ঝুঁকির বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। তাই আপাতত ব্যাঙ্কই ভরসা। সেভিংস অ্যাকাউন্টে কম সুদের হার চিরকাল থাকবে না। তাই এই আপৎকালীন সময়ে কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন, ঝুঁকি নেওয়ার এটাই সেরা সময়। আপৎকালীন সঞ্চয়ের জন্য ব্যাঙ্কে টাকা রাখা যেতে পারে। কিন্তু মুনাফা করতে হলে বাজারের এই অস্থিরতাকেই বুদ্ধি করে কাজে লাগাতে হবে।