NSO প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৫.৪৩ শতাংশে পৌঁছয়। তার আগের মাসে এই হার ছিল ৪.০৫ শতাংশ। মুদ্রানীতি নির্ধারিত করার সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রধানত ভোক্তা মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতি বিচার করে। সরকার ২ শতাংশ হারে বাড়িয়ে কমিয়ে খুচরা মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশে রাখার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাজার কাঁপানো খবর! কলকাতায় সোনার দামে ধামাকা পতন, হাজার হাজার টাকা সস্তা
সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে হরিয়ানায়, সবচেয়ে কম পঞ্জাবে
জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় দ্বারা প্রকাশিত তথ্যে রাজ্যভিত্তিক মূল্যবৃদ্ধি দেখতে গেলে হরিয়ানা সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে। এনএসও রিপোর্ট অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে হরিয়ানায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৭.২৩ শতাংশ, যা অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় সর্বাধিক। তালিকায় এর পরের স্থানেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। জানুয়ারি মাসে সবেচেয় কম মূল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে পঞ্জাবে। রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা গিয়েছে। জানুয়ারি মাসে গ্রামাঞ্চলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.১২ শতাংশ ছিল যেখানে শহরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.১৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! মোটা টাকা বেতন বৃদ্ধির অপেক্ষায়? বিশাল রেকর্ড হতে চলেছে!
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ হতে পারে
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমানের আশেপাশেই রয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার আগে আজ সকালে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Saktikanta Das) জানিয়েছিলেন যে এই বার মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ হতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি বেস ইফেক্টকে দায়ী করেছিলেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৭ শতাংশ থাকবে বলে অনুমান করে। জানুয়ারি মাসেই খুচরো মূল্যস্ফীতির দর দাড়ায় ৬.০১ শতাংশ। এর অর্থ হল যদি আরবিআই গভর্নরের অনুমান সঠিক হয় তবে আগামী দুই মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে মূল্যবৃদ্ধির সূচক নিচের দিকে নেমে আসবে।