প্রথমেই আসা যাক এই ওভারড্রাফট প্রসঙ্গে! ওভারড্রাফট হল এক ধরনের লোন বা ঋণ। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা বা মজুত ব্যালেন্সের বেশি টাকা তুলে নিতে পারেন। আর এই উপায়ে গ্রাহকরা অতিরিক্ত যত টাকা তুলবেন, সেই টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাঁদের ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। আর অবশ্যই এর উপর সুদ ধার্য করা হয়। কিন্তু এ-ক্ষেত্রে গ্রাহককে তুলনামূলক কম পরিমাণ সুদ গুনতে হয়। এ-ছাড়াও এই ধরনের ওভারড্রাফটের আরও একটি সুবিধা রয়েছে। আর সেটি হল, যে সময়ের জন্য টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়, শুধুমাত্র সেই সময়ের জন্যই সুদ দিতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাতিল ১৪৫ ট্রেন, ভারতীয় রেলের তালিকায় চোখ রাখুন স্টেশনে যাওয়ার আগেই!
ব্যাঙ্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই:
লাইভ মিন্টের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, ফিক্সড ডিপোজিটের উপরে গ্রাহকরা ওভারড্রাফটের সুবিধা নিতে পারেন। এর জন্য তাঁদের ব্যাঙ্কে বা ব্যাঙ্কের কোনও শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ডিজিটাল অ্যাপে গিয়ে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করতে পারেন গ্রাহকরা। আর ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করলেই তাঁরা পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ওভারড্রাফটিং-এর সুবিধা পেয়ে যাবেন।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক লঞ্চ করল প্রি-কোয়ালিফাইড কার্ড:
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক লঞ্চ করেছে প্রি-কোয়ালিফাইড ক্রেডিট কার্ড। স্যালারি অ্যাকাউন্টধারী গ্রাহকরা এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্স-সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধাও পাওয়া যাবে। এই কার্ড পেতে হলে গ্রাহকদের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ রাজ্যের! আগামিকালই দায়িত্বে নতুন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল
পিএনবি ই-নিলামের মাধ্যমে বাড়ি বিক্রি করবে :
যে সমস্ত গ্রাহক সস্তায় বাড়ি এবং জমি কিনতে চান, তাঁদের জন্য পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক নিয়ে এসেছে দারুণ সব সুবিধা। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ই-নিলামের মাধ্যমে হাউজিং, রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল সম্পত্তি নিলাম করবে। আর যে কোনও ব্যক্তি এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী ২৫ অগাস্ট পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এটি অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সেই সব সম্পত্তি নিলাম হবে, যে সমস্ত সম্পত্তি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছিল এবং সেই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এর অর্থ হল, সম্পত্তি বন্ধক রেখে যে টাকা নেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা শোধ না-করার ফলে সংশ্লিই সম্পত্তি ব্যাঙ্কের হাতে চলে যায়। ওই সম্পত্তিগুলি নিলাম করেই ব্যাঙ্ক সেই ঋণের টাকা তুলে নেয়। সম্পত্তির মালিকানা থাকার কারণে ব্যাঙ্ক খুব সহজেই সেই সম্পত্তি নিলামে তুলতে পারে।