অতিরিক্ত এলাকায় সব ফসলেরই চাষ হচ্ছে। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সেটা ধান। পরিসংখ্যান বলছে, সমস্ত রবি শস্যের অতিরিক্ত ২২.৭১ লক্ষ হেক্টর জমির মধ্যে ২০২১-২২ সালে ৩৫.০৫ লক্ষ হেক্টর থেকে ২০২২-২৩ সালে ৪৬.২৫ লক্ষ হেক্টরে ধানের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে ১১.২০ লক্ষ হেক্টর।
যদিও এটা স্বাভাবিক বপন এলাকার ৪৭.৭১ লাখ হেক্টরের চেয়ে কম। তারপরেও ধানের ফলন বেড়েছে তেলঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গে। ধান জমিতে তৈলবীজ, ডাল এবং পুষ্টিকর শস্য চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
advertisement
ফসলের চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের মেহনতি কৃষক ভাই-বোন, কৃষি বিজ্ঞানী এবং মোদির কৃষক-বান্ধব নীতির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল’। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তৈলবীজ উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে সরকার। ২০২১-২২ সালে দেশে ১.৪১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪২ লাখ টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। বর্তমানে তৈলবীজ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ৭.৩১ শতাংশ চাষ বেড়েছে। ২০২১-২২ সালে ১০২.৩৬ লক্ষ হেক্টর থেকে এই বছর ১০৯.৮৪ লক্ষ হেক্টর হয়েছে’।
সবচেয়ে বেশি তৈলবীজের ফলন বেড়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগঢ়ে। রবি মরশুমে তৈলবীজের মধ্যে রেপসিড এবং সরষের ফলন সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ সালে ৯১.২৫ লাখ হেক্টর জমিতে সরষে চাষ হয়েছিল। ২০২২-২৩ সালে তা ৬.৭৭ লাখ হেক্টর বেড়ে ৯৮.০২ লাখ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন, নদীর চরে এ কীসের চাষ হচ্ছিল! খবর পেতেই হানা দিল আবগারি দপ্তর
আরও পড়ুন, চা বিক্রেতা অ্যালোভেরার চাষ করে উপার্জন করছেন লাখ টাকা!
পাশাপাশি ডাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মিশনের অধীনে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের ভাল বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সহায়তা।