আরও পড়ুনঃ ঐশ্বর্য নন, জয়া-অমিতাভের বাড়ির এই বৌমাই সকলের চোখের মণি! সুন্দরী অভিনেত্রীর ঝুলিতে একগাদা হিট
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাটের মিনাখার এক যুবক পরীক্ষামূলকভাবে এই কামিনী গাছের চারা রোপন করেছেন। বর্তমান সময়ে কামিনী গাছের পাতার অনেক চাহিদা। বিয়ে বাড়ির মন্ডপ সাজানো থেকে নানা অনুষ্ঠান, গাড়ি সাজানো, মঞ্চ সাজানো সহ নানা অনুষ্ঠান ও অফিস সাজসজ্জাতে ব্যবহার হয় কামিনী। সাজসজ্জায় যেন সব কিছুতেই দরকার হয় কামিনীর পাতা-সহ ডাল। একটি অনুষ্ঠানে মন্ডপ সাজাতে ফুলের চেয়েও বেশি দরকার হয় কামিনীর ডাল। এটা ছাড়া ফুলের সৌন্দর্য্যটাও ঠিক ফোটে না। এককথায় ফুলের যে কোনও তোড়া বানাতে বা ফুল দিয়ে যে কোনও ধরণের ডেকোরেশন কোথাও দরকার হলে সেখানে এই কামিনী পাতার দরকার হয়। কামিনী গাছে তুলনামূলক কম খরচ ও দীর্ঘমেয়াদী ফলন পাওয়ায় এই গাছের বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখার বাসিন্দা নিতাই মন্ডল পরীক্ষামূলকভাবে এই গাছের চাষ করে ভালফলন পেয়েছেন। আগামী দিনে বড় পরিসরে এই গাছে চাষ করতে চান তিনি। কামিনী দীর্ঘমেয়াদী ফলন পাওয়ায় এই গাছের বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগ্রহ বাড়ছে।কামিনী গাছের কয়েকটি পাতা সহ ডাল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এভাবে বড় পরিসরের এই গাছের চাষ করলে বছরে কয়েক লাখ টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজে। কামিনী গাছে তুলনামূলক কম খরচ ও দীর্ঘমেয়াদী ফলন পাওয়ায় এই গাছের বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগ্রহ বাড়ছে। এই গাছের পাতা সহজে পচে না এবং সহজে নরম হয় না।
অন্য যেকোনও ফুল কিংবা পাতা যেমন গাছে রেখে দেওয়া যায় না, কামিনীর ডালের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। এটি পচবে না বা নষ্ট হবে না। তাই এটি চাষেও ঝুঁকি কম। গাছটিতে জল দেয়া আর সার দেওয়া ছাড়া বিশেষ কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। একবার গাছ লাগালে বছরের পর বছর ডাল পাওয়া যায়। একটি ডাল কাটলে সেখানে আরও কয়েকটি ডাল বের হয়। এই গাছের পাতা ওজন এবং গোছা দু’ভাবেই বিক্রি করা যায়। সেজন্য সহজ কম পরিচর্যায় অল্প জায়গা থাকলে এই গাছের চাষে বাড়তি আয়ের পথ দেখা যায়। জুলফিকার মোল্লা