বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সূচনা হয় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। বঙ্গে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে গোটা দেশের নামীদামি শিল্প সংস্থার কর্তারা এসেছেন কলকাতায়। বেঙ্গল মিনস বিজনেস’-এই থিমকে সামনে রেখেই হচ্ছে এবারের শিল্প সম্মেলন। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া থেকে টেক্সটাইল, কৃষিভিত্তিক পণ্য থেকে কুটির শিল্প, পর্যটনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সম্মেলনে। AI হাব নিয়েও এবার হবে আলোচনা। এবছর CII ও FICCI-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসেছে নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সম্মেলনের অষ্টম এডিশনে যোগ দিয়েছেন ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা।
advertisement
মুকেশ আম্বানি এদিন বলেন, ‘‘মা কালীর কাছে আমি প্রার্থনা করি। এই বাংলার পুণ্যভূমিতে সকলকে প্রণাম জানাই। বাংলা নবজাগরণের ভূমি। এখন বাংলা অর্থনীতির নবজাগরণ ভূমি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজী সকলেই এই বাংলার পুণ্যভূমির সন্তান। আমি ২০১৬ সাল থেকে আসছি। প্রতি বছর আমি ভাবি এই সামিট আলাদা কি হবে? আর এসে সামিট দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। আমি দেশের পশ্চিম প্রান্তে থাকি। যা ব্যবসার জায়গা। কিন্তু দ্রুত সেটার অবস্থা বদল হচ্ছে। বাংলা মানে মমতা দিদি, মমতা দিদি মানে বাংলার ব্যবসা। মমতা মানে সকলের পাশে থাকা। আর দিদি সকলের পাশেই থাকে। মায়ের মুখ হল স্বর্গ সুখ। বাংলায় সেই মায়ের চেহারা আমি দেখি। আপনার নেতৃত্বে বাংলা যথাযথ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলায় বিনিয়োগ করার এখন দারুণ সময়।’’
আম্বানি জানান, ‘‘এখন ৫০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আমরা করেছি। আমরা এক লক্ষ সরাসরি কর্মসংস্থান করেছি। ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার – জিও এখন শুধু এক নম্বর নয়! এটা বিশ্বের এক নম্বর ডেটা কোম্পানি। জিও এখন বাংলায় ১০০% কভার করেছে। কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় জিও। এখন ৫জি গ্রামীণ এলাকায় কাজ করছে। যা স্কুলের বাচ্চাদের সাহায্য করছে। কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন দিঘায় আগামী কিছু মাসে কাজ শুরু করবে। AI ও ডেটা সেন্টার কলকাতায় কাজ করবে। এই ট্রান্সফরমেশন বাংলায় নতুন সুযোগ আনবে। তিন বছরে ওয়্যার হাউজ আরও বাড়বে। স্বদেশ আমাদের নতুন কাজ যা দেশীয় প্রডাক্ট বিক্রি করবে। বাংলার জামদানি, বালুচরী, মসলিন, পাটের কাজ, ও খাবার এর মাধ্যমে বিশ্বের নানা জায়গায় পাওয়া যাবে। সোলার বাংলা, সোনার বাংলায় আমরা কাজ করব। কালীঘাটের মন্দিরের কাজ আমরা করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে এই কাজে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দিদি। আমার পরিবার এই পুণ্যভূমির সঙ্গে জড়িত। আবেগ জড়িয়ে আছে আমাদের। রিলায়েন্সের দারুণ অভিজ্ঞতা এখানে কাজ করে। দিদি থাকলে ব্যবসায়িকরা রেড কার্পেট পায়। তাই বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসুন। দিদি আপনার বাংলা, রিলায়েন্সের বাংলা।’’