একবার গাছ লাগানোর পর প্রায় তিন থেকে চার মাস ফুল ফোটে। সেই গাছ মারা গেলে আবার তিনি সেই জমি নতুন করে তৈরি করে পুনরায় গাঁদা ফুলের চারা রোপন করেন। এই ভাবেই বছরে চারবার তিনি গাঁদা চাষ করছেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে গাঁদা চাষে লাভ বেশি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জয়ের খবর মিলতেই দালাল স্ট্রিটে খুশির হাওয়া, রকেটের মতো চড়চড়িয়ে উঠল সেনসেক্স, নিফটি
advertisement
ফুল বিক্রির জন্য জেলার বাইরে কোথাও যেতে হচ্ছে না। বর্তমানে মালদহ শহরেই বছরের প্রতিটা সময় গাঁদা ফুলের ব্যাপক চাহিদা। তাই তিনি তার জমিতে উৎপাদিত গাঁদা ফুল সারা বছর মালদহ শহরের ফুল মার্কেটে বিক্রি করে আসছেন।
অন্যান্য ফসল চাষের থেকে গাঁদা ফুল চাষের খরচের পরিমাণও কম। এমনকি গাঁদা ফুলের গাছ গবাদি পশু খেয়ে ফেলে না। এতে করে এই ফসল চাষে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। গাঁদা ফুল চাষি নকুল মন্ডল বলেন, অন্যান্য ফসল চাষ করে দেখেছি লাভ খুব একটা বেশি হয় না। গত ১৫ বছর ধরে গাঁদা ফুল চাষ করছি। এই ফুলের লাভ হচ্ছে। বছরে চারবার ফুলের চাষ করছি।
আরও পড়ুন: কাঁঠালই বদলে দেবে আপনার ভাগ্য, হবে মোটা টাকা লাভ ! দেখে নিন কী করে
শুধুমাত্র গাঁদা ফুল চাষের আগে জৈব সার দিয়ে জমি তৈরি করতে হয়। জমিতে যেন কীট পতঙ্গের আক্রমণ না হয় সেই বিষয়টি নজর রাখতে হয়। চারা গাছ লাগানোর পর গোবর সার সহ অন্যান্য রাসায়নিক সার দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করলেই গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। কাছে প্রায় তিন মাস ধরে ফুল হয়।
বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চাষ তিনি বর্তমানে করছেন। অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে এই ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ব্যাপক। বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে তাই তিনি শুধুমাত্র গাঁদা ফুল চাষ করে আসছেন তার কয়েক বিঘা জমিতে। আগামীতে এই গাঁদা ফুলি চাষ করতে চান তিনি। কারণ গাঁদা ফুল চাষে লাভের পরিমাণ বেশি বলে জানান ফুল চাষী নকুল মন্ডল।
হরষিত সিংহ