ছোটবেলায় তিনি প্রাথমিক অঙ্কন শিক্ষাও নিয়েছেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে বিভিন্ন সময় হাতের বিভিন্ন কাজও করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বানাচ্ছেন এই শিক্ষিকা। বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে স্কুল। প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় তাকে। বাড়িতে বাচ্চা ও অন্যান্য সাংসারিক কাজের পর বসে পড়া ক্লে, রং তুলি নিয়ে। নিজের শিল্প ভাবনায় ও শিল্প নিপুণতায় বানিয়ে তুলছেন একাধিক হ্যান্ডমেড গয়না। বিক্রিও করছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৪+১৫+১৬-র এই বিশেষ সূত্র অল্প পরিমাণ টাকাকেও ১ কোটিতে পরিণত করতে পারে, হিসেবটি বুঝে নিন
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা অনিন্দিতা চক্রবর্তী ষড়ঙ্গী। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা তিনি। নাচ এবং আবৃত্তি তার শখ, তবে তিনি শুরু করেছেন ক্লে দিয়ে জুয়েলারি বানানোর কাজ। শুধু তাই নয় অবসর সময়ে হাতে তৈরি এই জুয়েলারি বিক্রি করে মাসিক লাভ জুটছে শিক্ষিকার। করোনার সময় থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখেছেন জুয়েলারি তৈরি। গত বেশকয়েকমাস ধরেই করেছেন ক্লে জুয়েলারি বানানোর কাজ। শুধু তাই নয়, তিনি অন্যান্য জুয়েলারিও তৈরি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধি এই তো সবে শুরু, সোনার দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে ? দেখে নিন এক ঝলকে
সামান্য খরচে এবং সামান্য কাঁচামাল দিয়েই এই জুয়েলারি বানাচ্ছেন তিনি। তবে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা। আগামীতে তিনি জঙ্গলমহলের প্রান্তিক গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরির প্রশিক্ষণ দেবেন বলে চিন্তাভাবনা করছেন। বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত পর্যন্ত চলে তার জুয়েলারি তৈরির কাজ। প্রসঙ্গত এই রেজিন ক্লে বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত নষ্ট হয় না। তার হাতে তৈরি গয়নার দাম রয়েছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও পছন্দের মত বানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। রয়েছে বাচ্চাদের জন্য পেন্ডেন্ট, গয়নাও।
রঞ্জন চন্দ