কিন্তু অনেকেই জানেন না, আয়কর রিটার্ন দাখিল করে শুধু মাত্র ট্যাক্স রিফান্ড পাওয়া যায় তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদে বেশ কিছু উপকারও হয়। বিশেষজ্ঞরা তাই আইটি রিটার্নকে হালকাভাবে নিতে বারণ করেন। এখন জেনে নেওয়া যাক আইটি রিটার্ন দাখিল করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়।
যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, বার্ষিক আয় কত? মুখের কথার কোনও বৈধতা নেই। কিন্তু আইটি রিটার্ন দাখিল করলে সেটাই হাতেগরম প্রমাণ। যদি কেউ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে আয়কর বিভাগ দ্বারা জারি করা শংসাপত্রটিই আয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। আয়ের শংসাপত্র সরকারি, ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
advertisement
পার্সোনাল লোন পাওয়া সহজ হয়ে যায়: ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কখনও কখনও লোনের দরকার হয়। ব্যাঙ্ক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের লোনের আবেদন করলে প্রথমেই বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে বলে। এটা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে হোম লোনের ক্ষেত্রে আয়ের প্রমাণ হিসাবে তিন বছর পর্যন্ত আইটিআর চাওয়া হয়। এটি সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নিয়মিত আইটিআর ফাইল করলে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিমা কভার বাড়ে: বিমা কেনার সময় বেশি কভার চাইলে প্রিমিয়াম যেমন বেশি দিতে হয় তেমনই বিমা কোম্পানি আইটি রিটার্ন ফাইলিংয়ের কথাও জানতে চায়। আসলে বিমা সংস্থাগুলো আরও বেশি বিমা কভার করার শর্তে বা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি পরিকল্পনায় আইটিআর দেখে। আইটি রিটার্ন ফাইল করা থাকলে কাজ সহজ হয়ে যায়।
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে: ব্যবসা শুরু করার জন্যও আয়কর রিটার্ন দাখিল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও ব্যবসায়ী সরকারি দফতর থেকে চুক্তি পেতে চান তবে আইটিআর কাজে আসবে। যে কোনও সরকারি বিভাগে চুক্তি নেওয়ার জন্যও বিগত ৫ বছরের আইটিআর প্রয়োজন।