বাজেটে আয়কর স্ল্যাবের পরিবর্তন হবে কি না জানতে চেয়ে অর্থমন্ত্রকে মেল করেছিল রয়টার্স। কিন্তু সেই মেলের কোনও জবাব মেলেনি।
আরও পড়ুন: তরতরিয়ে ছুটছে রিলায়েন্সের ঘোড়া, জিও ও রিটেলে ২১ শতাংশ আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা
আয়করকে সহজতর করার জন্য ২০২২ সালে ঐচ্ছিক আয়কর স্কিম চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতে বার্ষিক আয়ের উপর কম করের হার অফার করা হয়। কিন্তু আবাসন ভাড়া এবং বিমা খাতে ছাড় না দেওয়ায় এই স্কিম নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি আয়করদাতারা। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নতুন আয়কর ব্যবস্থায় ছাড় এবং ট্যাক্স ডিডাকশনের অনুমতি দেওয়া হলে এটা আরও জটিল হয়ে যাবে। তাছাড়া এই স্কিম চালুর ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল’।
advertisement
বর্তমানে একজন আয়করদাতা কোন সেটের আওতায় কর দেবেন, সেটা নিজেই ঠিক করতে পারেন। যদিও কতজন করদাতা নতুন কর ব্যবস্থায় আয়কর দিচ্ছেন, সেই তথ্য প্রকাশ করেনি কেন্দ্র সরকার। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বার্ষিক আয় ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা হলে আয়কর দেওয়ার বিধান রয়েছে। যাঁরা প্রতি বছর ৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার মধ্যে আয় করেন তাঁদেরকে নতুন স্কিমের আওতায় ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। যেখানে পুরনো স্কিমে এই হার ছিল ২০ শতাংশ। বার্ষিক ১.৫ মিলিয়ন আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর ধার্য হয়।
আরও পড়ুন: বাজেটে কি সস্তা হবে বিমান টিকিটের দাম? প্রত্যাশা তুঙ্গে
১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানেই আয়কর স্ল্যাব বদলের ঘোষণা করতে পারেন তিনি। এতে মধ্যবিত্ত করদাতারা যে বড় স্বস্তি পাবেন বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমিও মধ্যবিত্ত। তাই মধ্যবিত্তদের চাপ বুঝতে পারি’। তাই নতুন আয়কর কাঠামোয় ট্যাক্স স্ল্যাব পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, বাড়ি ভাড়া ও বিমার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া উচিত। পাশাপাশি আরও ছাড়ের আওতায় আনতে হবে পিপিএফ এবং অন্যান্য ট্যাক্স সেভিংস স্কিমকেও। নতুন বিকল্প আয়কর প্রকল্পকে করদাতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে অর্থমন্ত্রীর মৌলিক ছাড়ের সীমা বাড়ানো এবং সর্বোচ্চ কর হারের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু জনপ্রিয় ট্যাক্স ডিডাকশনও আনা উচিত।