আইপিও ওয়াচ অনুসারে, এলআইসি-এর আইপিও বর্তমানে ২৫ টাকা অর্থাৎ ৩ শতাংশ প্রিমিয়ামে গ্রে মার্কেটে ট্রেড করছে। একই সময়ে, শীর্ষ শেয়ার ব্রোকারের মতে, এলআইসি আইপিও-র জিএমপি বর্তমানে ৫ শতাংশ প্রিমিয়ামে লেনদেন করছে।
উল্লেখ্য, এলআইসি-র আইপিও ৪ মে খুলবে এবং ৯ মে পর্যন্ত বিড করা যাবে। পলিসিহোল্ডার এবং কর্মচারীদের জন্য যথাক্রমে ২,২১,৩৭,৪৯২টি এবং ১৫,৮১,২৪৯টি শেয়ার সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। তাঁদের বিশেষ ছাড়ও দেওয়া হবে। এলআইসির পলিসিহোল্ডাররা শেয়ারপিছু ৬০ টাকা এবং খুচরো বিনিয়োগকারী ও কর্মীরা ৪০ টাকা ছাড় পাবেন।
advertisement
আরও পড়ুন : কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র? হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে নিজেই ভিডিও বার্তায় জানালেন 'বীরু'
গ্রে মার্কেটের দর দেখে সাধারণত কত টাকায় সেই শেয়ার তালিকাভুক্ত হবে সেটা আন্দাজ করা যায়। ২৮ এপ্রিল গ্রে মার্কেটে এলআইসি-র যে দর দেখা যাচ্ছে তাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমা কোম্পানির শেয়ার ৫ শতাংশ লাভের সঙ্গে তালিকাভুক্ত হতে পারে। যদিও হাতে এখনও ৪ দিন সময় রয়েছে। এর মধ্যে এর দাম বাড়তেও পারে। তবে গত কয়েক মাস ধরে বাজারে চলমান বেচা-কেনা ইতিমধ্যেই এলআইসির আইপিও-কে প্রভাবিত করেছে৷ শুধুমাত্র এলআইসি আইপিও-র তারিখ পরিবর্তন করা হয়নি, আকারও মাত্র ৩.৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (SEBI) কাছে যে চূড়ান্ত নথি জমা দিয়েছে এলআইসি, তাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার ২২,১৩,৭৪,৯২০ টি শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে। তা থেকে ২১,০০০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। সেবির ছাড়পত্র পাওয়া রেড হেরিং প্রসপেক্টাসে জানানো হয়েছে, ন্যূনতম ১৫ টি ইক্যুইটি শেয়ারের জন্য দর হাঁকতে হবে। তারপর ১৫-র গুণিতকে দর হাঁকা যাবে।
আরও পড়ুন : বাজ পড়লে নষ্ট হতে পারে টিভি-ফ্রিজ-মোবাইল! কী কী সতর্কতা নেবেন জানেন তো?
হেম সিকিউরিটিজের প্রধান-পিএমএস মোহিত নিগম বলছেন, ‘সংশোধিত মূল্যায়ণের পরেও আইপিও-র ন্যায্য দাম রয়েছে। খুব সস্তা হয়ে যায়নি। এখন অতিরিক্ত রিটার্ন মিলবে কিনা সেটা আগামী কয়েক বছর কীভাবে ব্যবসা চালানো হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে’। তবে এলআইসি-র আইপিও খুচরো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি করেছে এটা স্পষ্ট।
এই প্রসঙ্গে অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজের এমডি বি গোপকুমার বলছেন, ‘খুচরো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এলআইসি-র আইপিও নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদনা রয়েছে। আমরা গত মাসেই আইপিও-র জন্য প্রায় ৪৫০০০ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ গ্রাহক বাজারে নতুন’।