“ভারতে তৈরি করা হলে, আমরা যে কোনও ব্র্যান্ডকেই স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি। যদি কোনও কোম্পানি অন্য কোথাও যন্ত্রাংশ এবং যানবাহন তৈরি করে এবং শুধুমাত্র ভারতকে একটি বাজার হিসাবে ব্যবহার করে, তা হলে আমরা সেটা করতে দিতে চাই না," স্পষ্ট বলেন গড়করি। "হাইড্রোজেন হল জ্বালানির দিক থেকে ভারতের ভবিষ্যত এবং আমরা শীঘ্রই অন্যান্য দেশেও সেটা রফতানি করতে তৈরি হব", বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
advertisement
গড়করি হাইড্রোজেন দ্বারা চালিত বৈদ্যুতিক গাড়ি, টয়োটা মিরাইতে ইভেন্টে এসেছিলেন। আর স্পষ্টত হাইড্রোজেন জ্বালানির প্রতি ভারতের সমর্থন দেখান। "হাইড্রোজেন-জ্বালানিযুক্ত গাড়ি ভারতের ভবিষ্যত এবং আমরা নিকাশি নালার জল এবং পৌরসভার বর্জ্যের মতো একাধিক উৎস থেকে সবুজ হাইড্রোজেন পেতে পারি… আমরা বিশ্বে সবুজ হাইড্রোজেন রফতানি করব, এটিই আমাদের স্বপ্ন," গড়করি সাক্ষাৎকারে বলেছেন।
গড়করি যোগ করেছেন যে এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। যানবাহনে সবুজ হাইড্রোজেনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। "এক বছরের মধ্যে, আমরা সবুজ হাইড্রোজেনে গাড়ি, ট্রাক এবং বাস দেখতে পাব এবং আমি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের কৃষকরা সবুজ হাইড্রোজেন তৈরি করবে," তিনি জানিয়েছেন।
পরিবেশ সচেতন যানবাহন সম্পর্কে বলতে গিয়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর দিয়েছেন যে বৈদ্যুতিক এবং ফ্লেক্স-ইঞ্জিন যানবাহনগুলি সাশ্রয়ী হবে এবং পেট্রোল আমদানির উপর ভারতের নির্ভরতা হ্রাস করবে। “এক লিটার পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১২০ টাকার বেশি, তবে, যদি জ্বালানি বায়ো ইথানল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় তবে দাম প্রতি লিটারে কমপক্ষে ২৫ টাকায় কমে আসবে। এটি সাশ্রয়ী এবং দূষণমুক্ত জ্বালানি,” তিনি বলছিলেন। "ভারতের পেট্রোলিয়াম আমদানি বর্তমানে প্রায় ১৭ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়ে গিয়েছে। কিন্তু এমন একটি দিন আসবে যেখানে কৃষকরা নিজেরাই ইথানল তৈরি করবে এবং ফলত জ্বালানির খরচ কমিয়ে আনবে", আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যোগ করেছেন।
১১ অক্টোবর মন্ত্রী টয়োটা মোটর দ্বারা ভারতের প্রথম ফ্লেক্স-ইঞ্জিন গাড়ি চালু করেছিলেন। এই গাড়ি ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলে চলে। ফ্লেক্স জ্বালানি ভারতে নতুন হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়। আগামী ছ’ মাসের মধ্যে ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল ব্যবহারের লক্ষ্যে ইঞ্জিনকে রূপান্তরের দিকে নিয়ে যেতে গাড়ি নির্মাতাদের একটি পরামর্শও জারি করেছিলেন তিনি। ভারতে এখনও বৈদ্যুতিক যানবাহনের দাম অনেক বেশি। গড়করি সে প্রসঙ্গে বলেন যে, অনেক গাড়ি নির্মাতারা বিদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য অপেক্ষা করছেন এবং যখন বেশি পরিমাণে গাড়ি তৈরি হবে, স্বাভাবিক ভাবে খরচ কমে আসবে।