এ জন্য সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানকে সেরা বিকল্প বলে মনে করেন স্ক্রিপবক্সের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অনুপ বনসল। তাঁর কথায়, ‘এটা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের উল্টো। সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের সাহায্যে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর জমা করা মোট টাকার একটা অংশ তুলতে পারেন’।
এটা কীভাবে কাজ করে? এসডব্লিউপি-তে বিনিয়োগকারীকে প্রথমে এক লপ্তে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর সেখান থেকে তিনি নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ নিরাপদ। যাঁরা অবসর নিচ্ছেন বা প্রবীণ নাগরিক, মাসিক আয়ের একটা সহজ উৎস খুঁজছেন তাঁদের জন্য এসডব্লিউপি আদর্শ বিকল্প। বনসলের কথায়, ‘আমার মতে, অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনায় সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের জুড়ি নেই’।
advertisement
এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে, তিন মাস অন্তর বা বছরে একবার নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বনসল বলছেন, ‘কিস্তিতে যে পরিমাণ টাকা তুলতে দেওয়া হয় তা একজনের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে, জীবনযাত্রার ধরনও বদলে যায়। সেই অনুযায়ী কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ বদলে নেওয়া যায়’।
তবে প্রতি মাসে তোলা টাকার পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মোট মূলধনের উপর কত টাকা সুদ মিলছে সেটা মাথায় রাখতে হবে। যদি ৭ শতাংশ সুদ মেলে তাহলে মাসিক কিস্তিতে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের বেশি তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ এর ফলে সঞ্চিত মূলধনে হাত পড়বে না। যাই হোক, আয় এবং খরচের তুলনা করেই মাসিক কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ ঠিক করা উচিত। এই প্রসঙ্গে বনসল বলছেন, ‘এটা কীভাবে একটা পরিবারের খরচ চালানোর জন্য বাজেট ঠিক করতে হয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়’।
তাছাড়া চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের সুবিধা পাওয়ার জন্যও এক লপ্তে মোটা টাকা তুলে নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বনসল। তাঁর কথায়, ‘অবসরকালের জন্য এসডব্লিউপি একটা দুর্দান্ত বিকল্প। এ জন্য বিনিয়োগকারীকে প্রথমে মোটা অঙ্কের টাকা জমাতে হবে। তারপর সেখান থেকেই মাসিক আয়ের নিরাপদ রাস্তা খুঁজে নিতে পারবেন তিনি।’